ব্রেক্সিট-ভোটে হার টেরেসার

পার্লামেন্টে ফের হারের মুখে পড়লেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। কোনও চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যেতে যে সব এমপি-র আপত্তি রয়েছে, তাঁরাই মঙ্গলবার ভোটে জিতলেন। যার ফলে ‘চুক্তিহীন ব্রেক্সিট’-এর পথেও নয়া বাধা তৈরি হল। ৩০৩টির মধ্যে ২৯৬ ভোটে হেরে গিয়েছেন টেরেসা। যার অর্থ, ইইউ থেকে বেরিয়ে যেতে হলে পার্লামেন্টের জোরদার সম্মতি জোগাড় করাই একমাত্র পথ ব্রিটেনের সরকারের।

আর ঠিক সেই কাজটাই করতে নেমেছেন টেরেসা। পার্লামেন্টে আগামী পাঁচ দিনের বিতর্কে তিনি তাঁর ব্রেক্সিট চুক্তি এমপি-দের বোঝাতে মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। চুক্তিতে অন্যতম বিরোধের জায়গা তৈরি হয়েছে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড নিয়ে। টেরেসার আশা, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড নিয়ে তাঁর নয়া প্রস্তাব এমপি-দের মত পরিবর্তনে সাহায্য করবে। তাতে আগামী সপ্তাহে ফের ভোটাভুটিতে তাঁর চুক্তির ব্যর্থতা আটকানো যাবে।

যদিও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, টেরেসার ‘অর্থহীন’ প্রস্তাবে তারা রাজি নয়। প্রধানমন্ত্রীর নিজের দলের ‘বিদ্রোহী’ কনজারভেটিভ সদস্যরা আবার এমন কোনও পদক্ষেপ করতে চান, যাতে টেরেসার চুক্তি বাতিল হলে এমপি-দের হাতে যথেচ্ছ ক্ষমতা থাকে।

প্রাক্তন কনজারভেটিভ দুই মন্ত্রী অলিভার লেটউইন এবং ডমিনিক গ্রিভের নেতৃত্বে মঙ্গলবার এমপি-রা ভোটাভুটিতে সরকারকে কোণঠাসা করেন। তাঁরা এমন একটি সংশোধনীর কথা বলেছেন, যাতে চুক্তি ছাড়া ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া আরও কঠিন হয়ে যায়। এর পরে তাঁরা ভাবছেন, আরও একটি সংশোধনীর কথা। টেরেসা যদি আগামী সপ্তাহের ভোটেও হেরে যান, তা হলে ওি সংশোধনীর মাধ্যমে একটা বিকল্প পথ তৈরি করে রাখতে চাইছেন তাঁরা। বিরোধী লেবার পার্টি বলেছে, টেরেসা ফের ভোটে হারলে অনাস্থা প্রস্তাব আনবে তাঁরা।