মাগুরায় উচ্চ ফলনশীল সরিষার চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে

জেলায় চলতি রবি মৌসুমে উচ্চফলশীল সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। এ বছর ভালো ফলন পাওয়ার পাশাপাশি সরিষার ন্যায্য মূল্য পাবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা। জেলার চার উপজেলায় এ বছর ১৩ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭ হাজার ২১৫ হেক্টর, শালিখা উপজেলায় ৪ হাজার ২৬৫ হেক্টর, শ্রীপুর উপজেলায় ৭০০ হেক্টর ও মহম্মদপুর উপজেলায় ১ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। চাষকৃত এসব জমি থেকে প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদিত হবে বলে আশা করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ৯৮ শতাংশ জমিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট উদ্ভাবিত (বারি) সরিষা,বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিনা উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাত, টরি-৭সহ বিভিন্ন জাতের উচ্চ উচ্চফলনশীল সরিষার চাষ হয়েছে। এর পাশপাশি বাকি ২ শতাংশ জমিতে স্থানীয় জাতের সরিষা চাষ করছে কৃষকরা।

কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, স্থানীয় জাতের সরিষায় সাধারণত হেক্টর প্রতি ফলন হয় .৫ থেকে .৬ টন। সে তুলনায় বারিসহ উচ্চফলনশীল জাতের সরিষায় ফলন হয় হেক্টর প্রতি প্রায় ১ থেকে ১.৫ টন। উচ্চ ফলনশীন জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করায় তারা এ বছর এটির চাষ বেশি করেছেন । এ ছাড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সরিষা চাষ সফল করতে সব ধনের সহযোগিতা করা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুক’ল থাকলে চলতি মৌসুমে কৃষকরা সরিষার ভালো ফলন পাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

হাজরাপুর ইউনযি়নরে রামনগর গ্রামরে এলাকার কৃষক সরিাজুল ইসলাম জানান, তার দডে় বঘিা জমতিেটরি-৭ ও বিনা-৯ জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা করেছে। চাষে তার খরচ হয়ছে ২৫০০ থকে ৩০০০ টাকা। বঘিা প্রতি সাতমণ সাড়ে ৭মণ ফলন ফলন পাবেন বলে আশা করছেন। যার বাজার মূল্য প্রতি মণ প্রায় ২০০০ টাকা।

সদর উপজেলার কাপাসহাটি গ্রামের কৃষক বাবুল আখতার বলেন, ২ বিঘা জমিতে বারি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বারি-৪ সরিষা চাষ করেছেন। তিনি চাষকৃত জতি থেকে বিঘা প্রতি ৭ থেকে ৮ মণ সরিষা পাবেন বলে আশা করছেন।

মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন জানান, চলতি রবি মৌসুমে মোট জেলায় প্রায় ৯৮ শতাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা বেশি চাষ হয়েছে। কৃষকদের সরিষা চাষে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছে। আবহাওয়া অনুক’ল থাকলে সরিষার ভালো ফলন পাওয়ার পাশাপাশি কৃষকরা ভালো দাম পাবেন বলেও তিনি মনে করেন।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান