রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রমজান মাস একটি পবিত্র মাস, এই মাসে পণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নেওয়া ঠিক নয়। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যথেষ্ট মজুত রয়েছে। রমজান মাসে কোনো পণ্যের দাম বাড়বে না।

আসছে রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম যাতে বৃদ্ধি না পায় সে বিষয়ে গত ২৭ মার্চ, বুধবার সচিবালয়ে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা একটি ক্লু দিয়েছেন, সেটা আমরা ফলো করবো। আর সেটা হচ্ছে মিল থেকে যে মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা হয় তা থেকে প্রতি কেজি বা এককে পঞ্চাশ পয়সা হোল সেলাররা লাভ করবেন। এর সেই পণ্যের উপর আরতদাররা যদি একটি ছোট অংকের লাভ করে ছেড়ে দেয় এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা যদি প্র্রতি কেজি বা পণ্যের এককের উপর পরিবহন খরচসহ বিভিন্ন খরচ বিবেচনা করে সর্বোচ্চ ৫ টাকা লাভের পর ভোক্তাদের কাছে বিক্রয় করে তাহলে ভোগ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির কোন সুযোগ নেই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা যেটা বলেছেন, এই দামের চেইনটা যদি দেখভাল করা যায় তাহলে পণ্যের দাম বৃদ্ধি হবে না। আর আমরা এটা গুরুত্বসহকারে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেখবো। আর স্তরভিত্তিক মুল্য চেইনের বিষয়ে ব্যবসায়ীরাও একমত হয়েছেন। এমনকি আরতদারদের অনেকে বলেছেন, তারা কেজি প্রতি পঞ্চাশ পয়সা লাভ করতে পারলেই যথেষ্ঠ। ফলে ভোগ্য পণ্যের মুল্য বৃদ্ধির কোন আশঙ্কা আমরা দেখছি না।

আমি এখানে দেখছি ভোগ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির কোন কারণ নেই। এখানে ব্যবসায়ীদের মুখ থেকেও একই কথা আসছে। আমরা সবাই মিলে কাজ করতে পারলে এটার সমাধান সম্ভব। আর এটা হতে হবে।’

টিপু মুনশি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সে বিষয়ে আপনাদের চিন্তা করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পজেটিভ আছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে কাজ করে আমরা এটা নিয়ন্ত্রেণ করে যাবো। চাঁদাবাজি ঠেকাতে থানা, এসপি লেভেল ছাড়াও প্রয়োজনে আমরা একটি কল সেন্টার করে দেবো। যাতে করে যে কেউ চাঁদাবাজি হচ্ছে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তায় ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ বিষয়ে যথেষ্ট শক্ত কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, কোন অবস্থাতেই চাঁদাবাজি মানবো না। প্রতিটি পয়েন্টে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’