রাজশাহীর কাছে পাত্তাই পেল না ঢাকা প্লাটুন

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে কাগজে কলমে সবচেয়ে শক্তিশালী দল ঢাকা প্লাটুন। কে নেই এই দলে। দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল থেকে দেশসেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এছাড়া শহীদ আফ্রিদি ও থিসারা পেরেরার মতো ভিনদেশি তারকারাও খেলছে এই দলের হয়ে। তবুও জয় দিয়ে মিশন শুরু করতে পারেনি তারকাখচিত দলটি। রাজশাহী রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের যাত্রা শুরু করেছে ঢাকার দলটি।

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ঢাকা-রাজশাহী। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করা ঢাকার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় রাজশাহীর সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৫ রান। লিটন-জাজাই-মালিকের ব্যাটিং ঝড়ে সহজ জয় পায় রাজশাহী।

১৩৫ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই মাশরাফিদের উপর চড়াও হন লিটন-জাজাই। এ দুই জনের ওপেনিং জুটিতে আসে ৬২ রান। মেহেদী হাসানের বলে বিজয়ের গ্লাভস বন্ধি হওয়ার আগে ২৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন লিটন।

লিটনের বিদায়ের পর শোয়েব মালিকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন হযরতউল্লাহ জাজাই। দুই জনই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৪৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেন আফগান ব্যাটসম্যান জাজাই। ৪৭ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন মালিক।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা প্লাটুন। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারে মাত্র ১৫ রান। ব্যক্তিগত ৫ রানে আবু জায়েদের বলে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলয়নের পথ ধরেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। এরপর দলীয় ৩৯ রানে আউট হন লরি ইভান্স। তিনি করেন ১৩ রান। জাকের আলীকে সঙ্গে নিয়ে এনামুল হক বিজয় প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ জুটিতে আসে ৩৯ রান। ২১ রান করে জাকের আলী আউট হলে ভাঙে এ জুটি।

এরপর আরিফুল হক, থিসার পেরেরা ও শহীদ আফ্রিদিরা ক্রিজে এসে টিকতে পারেনি। এছাড়া ৩৮ রান করে এনামুল হকও আউট হয়ে যান। ফলে ১৭.৩ ওভারে ১০৩ রানেই আট উইকেট হারায় ঢাকা। শেষদিকে মাশরাফি ও ওহাব রিয়াজের ক্যামিও ইনিংসে সম্মানজনক স্কোর পায় ঢাকা। ওহাব রিয়াজ ১৯ রান করে আউট হলেও ১৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মাশরাফি। ২০ ওভার শেষে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৩৪ রান। রাজশাহীর পক্ষে আবু জায়েদ ২ উইকেট শিকার করেন।

আজকের বাজার/আরিফ