রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য তুরস্কের সহযোগিতা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বাংলদেশ থেকে রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ দেশ মায়ানমারে প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে তুরস্কের সহযোগিতা চেয়েছেন।
আঙ্কারায় টার্কিস গ্রান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলির স্পিকার মুস্তফা সেনতপের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ আহবান জানান।
গতকাল বৈঠককালে কামাল বলেন, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে যদিও মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ তাদের কিছু সময়ের জন্য আশ্রয় দিয়েছিল।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেয়া গোটা এলাকায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, সেখানে সামাজিক ও জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এমনকি আর্থিক বিবেচনায় সম্পদের এবং আর্থিক ক্ষতি বাংলাদেশের জন্য বিরাট বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে এবং এটি আমাদের প্রধান দাবি।”
মন্ত্রী বলেন, ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশটিতে ১০ লাখের বেশী রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার ফলে বাংলাদেশের ওপর প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে।
মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নকে ভয়াবহ উল্লেখ করে সেনতপ বলেন, সমস্যার সমাধানে তুরস্ক বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, উদ্বাস্তু এবং রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ দেশে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েন এরদোগান এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত।
অর্থমন্ত্রী সেনতপকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তুরস্কের স্পিকার আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ গ্রহন করেন।