শিশুদের জন্য কেন অধিদপ্তর নয়?

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি প্রশ্ন রেখেছেন, যুবকদের জন্য, মহিলাদের জন্য যদি অধিদপ্তর থাকতে পারে, শিশুদের জন্য কেন নয়?

তিনি বলেন, শিশুদের জন্য অধিদপ্তর চাওয়া বড় বেশি কিছু নয়। আমরা শিশুদের উন্নয়ন যতবেশি করতে পারব, দেশও ততবেশি উন্নত হবে।

সম্প্রতি সিরডাপ মিলনায়তনে পৃথক শিশু অধিদপ্তর গঠনের বিষয়ে নাগরিক সমাজের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এ সভার আয়োজন করে চিল্ড্রেন রাইটস অ্যাডভোকেসি কোয়ালিশন ইন বাংলাদেশ।

এতে সভাপতিত্ব করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয় মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম।

স্বাগত বক্তৃতা দেন সেভ দ্য চিল্ড্রেনের পরিচালক হান্টা গ্রাস। বিষয়ভিত্তিক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিল্ড্রেনের কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন শিশু অধিকার ফোরামের চেয়ারপারসন ইমরানুল হক, মানবাধিকার কর্মী আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী চুমকি বলেন, শিশু অধিদপ্তরের বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনিও অধিদপ্তর গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

বর্তমান সরকার শিশুদের উন্নয়নের জন্য বিশেষভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের দূরদর্শিতা ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণেই শিক্ষায় শিশুর হার বেড়েছে, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন হয়েছে, মৃত্যুহার কমেছে ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুর ব্যবহার কমে এসেছে। সেই ধারাবাহিকতায় শিশুদের জন্য পৃথক বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়- এ কথা উল্লেখ করে চুমকি বলেন, আজকে জন্ম নেয়া শিশুটি ২০৪১ সালে ২৫ বছরের যুবকে পরিণত হবে। তাই তাকে যদি শিশু বয়স থেকে সঠিকভাবে গড়ে তোলা না যায়, তাহলে উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, এদিকটিতে নজর রেখেই সরকার শিশুদের নৈতিকতাসহ যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। যেন আমাদের শিশু ও যুবকরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিশু অধিদপ্তর গঠনে সরকারের মধ্যেও কোন দ্বিমত নেই। এ অধিদপ্তর গঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করেই ২০১৪ সালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশের আলোকে মন্ত্রণালয় একটি আলাদা অধিদপ্তরের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।

তিনি বলেন, গতবছর মন্ত্রণালয় থেকে যুগ্ম সচিব তাহমিনা বেগমের নেতৃত্বে এনজিও প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি বর্তমানে একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে।