শীতের সবজিতে জয়পুরহাটের বাজার সয়লাব

জেলার হাটবাজার গুলোতে শীতের সবজিতে সয়লাব হওয়ায় দামও কমতে শুরু করেছে। আমদানী বেশি হওয়ায় সবজির দাম কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
জেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে জানা যায়, শীতের সবজির আমদানী বেশি হওয়ায় বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে সবজির দাম। বর্তমান বাজারে ২০ টাকা পিস বাধা ও ফুল কপি ১০/১২ টাকা, ২০ টাকা কেজির মূলা ৮/৯ টাকা, ৪০ টাকা কেজির শিম ২০ থেকে ২৫ টাকা, এক হাজার টাকা কেজির ধনিয়া পাতা এখন ২শ টাকা, ৪০ টাকার বেগুন ১৫/২০ টাকা কেজি, ৪০ টাকা পিস লাউ ১৫/২০ টাকা বিক্রি করতে দেখা যায়, কাঁচা কলা ১০ টাকা হালি, লাল ও সবুজ শাক সহ বিভিন্ন শাক-সবজি ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। নতুন ধান বাজারে আসা শুরু করায় চালের দামও কিছুটা কমতে শুরু করেছে। নতুন চাল হিসাবে বাজারে স্বর্ণ-৫ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা এবং বিআর-৪৯ বিক্রি হচ্ছে ৩৫/৩৬ টাকা কেজি। ধানের ফলন ভাল হওয়ায় এবার চালের দাম কম বলে জানান, আমতলীর পাইকারী চাল বিক্রেতা নজরুল ইসলাম।
মাছুয়া বাজারের পাইকারী পেঁয়াজ বিক্রেতা সাহেব আলী জানান, এক সপ্তাহ আগে ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি ছিল। বুধবার বাজারে সেই পেঁয়াজ ১৫ টাকা পাইকারী বিক্রি করতে দেখা যায়। দেশীয় পেঁয়াজের আমদানী বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে ভারতীয় পেয়াজের চাহিদাও কমে গেছে। দেশী পেঁয়াজ বর্তমানে ২০ টাকা কেজি খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, জেলায় এবার বন্যা বা অতি বৃষ্টিপাত না থাকায় সবজির ফলন ভাল হয়েছে। জেলার কৃষকরা অধিক লাভের আশায় চলতি মৌসুমে বিভিন্ন আগাম জাতের সবজি চাষ করেছেন। জেলায় চলতি ২০১৮-২০১৯ রবি মৌসুমে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার মেট্রিক টন সবজি। ফলে সবজি উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটের চাহিদা মিটিয়ে বাহিরের জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হয়। ব্যাপক হারে শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করায় বাজারে দাম কমছে বলে জানান, জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্র নাথ রায়।

সূত্র – বাসস