শেয়ারবাজারে জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

File Photo

কৃষি নির্ভর অর্থনীতির বাংলোদেশকে আমরা শিল্পায়নের দিকে তরান্বিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর শিল্পায়নের মাধ্যম হবে দেশের পুঁজিবাজার বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এপেক ফাইন্যান্সিয়াল রেগুলেটরস ট্রেইনিং ইনিশিয়েটিভ এর বিনিয়োগ শিক্ষার আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

যৌথভাবে কনফারেন্সটির আয়োজন করছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও এশিয়ান ডেভোলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। এই কনফারেন্স চলবে ১১ জুলাই পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন , দেশের অভ্যান্তরে দীর্ঘমেয়াদি অর্থ যোগান দেওয়ার জন্য সরকার একটি শক্তিশালী শেয়ারবাজার গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত আয়ের সীশা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ফিন্যান্সিয়াল প্রোডাক্টসহ বন্ড প্রচলনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। শর্ট সেল ও রিক্স বেজড সংশ্লিষ্ট দুটি বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে। একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তোলার জন্য ধারাবাহিকভাবে পলিসি সাপোর্ট, আইনগত সংস্কার, অবকাঠামোগত নির্মাণসহ নানাবিধ সহযোগিতা দিয়ে আসছে।

তিনি বলেন,  পুঁজিবাজারের মাধ্যমে সাধারন মানুষকে নতুন নতুন উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগে অংশীদার করা সম্ভব। যত বেশি মানুষ পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে, শিল্পায়ন তত বেশি ত্বরান্বিত হবে বলে বিশ্বাস করি।

বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা যখন বিনিয়োগ করতে যান, তখন মুনাফার সবটুকু বিনিয়োগ করে ফেলবেন না। অন্তত কিছু টাকা জমিয়ে রেখে তারপরে বিনিয়োগ করবেন। অনেক সময় দেখা যায় বেশি পাওয়ার লোভে সবটুকু বিনিয়োগ করে শেষে শূণ্য হয়ে যেতে হয়। সেটা যেনো না হয়। এজন্য যাই উপার্জন করবেন, তার কিছু হাতে রাখবেন। তাহলে আমার মনে হয় আপনাদের আয় স্থিতিশীল থাকবে।

এসময়  বিএসইসির সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সরকারের নেয়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন তিনি।  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারীরা অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের পুঁজিবাজার এখনো শ্রেণী বিনিয়োগকারীর উপর নির্ভরশীল। শক্তিশালী শেয়ারবাজার গঠনে দৈনন্দিন লেনদেনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। একটি জ্ঞাননির্ভর বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষে দেশব্যাপি বিনিয়োগ শিক্ষা অত্যন্ত জরুরী।  ইতিমধ্যে বিএসইসির মাধ্যমে বিভাগীয় শহরগুলোতে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল জেলা সদরে অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এশিয়ান ডেভলেপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) বাংলাদেশ প্রধান মনমোহন প্রকাশ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।