সবার কাছে পৌঁছাবে ভার্চ্যুয়াল স্বপ্ন

‘আমরা অনলাইনে আসছি । আমরা খুব তাড়াতাড়ি স্বপ্ন ডটকম চালু করব। অর্থ্যাৎ স্বপ্নে ফিজিক্যাল স্টোরের পাশাপাশি আমরা ভার্চ্যুয়াল স্টোর চালু করব। ফলে দুটোই এক সঙ্গে কাজ করবে। স্বপ্ন বাংলাদেশে এসেছে রিটেইল জগতে বিপ্লব আনার জন্য। আমি মনে করি স্বপ্ন এ পর্যন্ত যা কাজ করেছে তার মাধ্যমে অনেক পারবর্তন ঘটিয়েছে। শহরের মধ্যবিত্তের একটা বড় অংশ কাঁচা বাজারে যাওয়ার অভ্যাস থেকে আধুনিক এই বিপণন ব্যাবস্থার দিকে চলে এসেছে। এটা কিন্ত জীবনযাত্রার মানের অনেক বড় একটা পরিবর্তন। এই যে বিবর্তনটা স্বপ্ন করেছে এর ধারবাহিকতায় অনলাইনেও স্বপ্ন তার কাজ করে যাবে। কৃষক, শ্রমিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মালিকসহ দেশের আপামর জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে রিটেইল লিডার হিসেবে স্বপ্ন থাকতে চায়। জনসাধারণের আয় অনেক কষ্টার্জিত। তাদের কষ্টের আয় থেকে যাতে তারা সহজে সব কিছু ক্রয় করতে পারে সে কথা বিবেচনায় রেখে আমরা স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে চাই। কোন বিদেশি রিটেইল স্টোর আসার আগেই আমরা সারা দেশে স্বপ্নকে দেশীয় একটি ব্র্যান্ড হিসেবে সবার মাঝ ছড়িয়ে দিতে চাই। ২০১৮ সালের মধ্যে উপজেলা পর্যন্ত ছড়িয়ে যাবে স্বপ্ন। পাশাপাশি বিদেশেও স্বপ্নের পরিসর বাড়ানোর জন্য আমরা চিন্তা করছি’- ‘স্বপ্ন’ নিয়ে আজকের বাজার ও আজকের বাজার টেরিভিশন এবি টিভির কাছে আরও অনেক কথা বলেছেন এসিআই লজিস্টিকস বা স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নসির। তাঁর কথপোকথনের চুম্বক অংশ তাঁরই ভাষায় প্রকাশ করা হলো।

‘স্বপ্ন’ আমাদের স্বপ্নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের যাত্রা শুরুই হয়েছে গণমানুষের স্বপ্ন পূরণের জন্যে। কৃষকের স্বপ্ন, মধ্যবিত্তের স্বপ্ন, শ্রমিকের স্বপ্ন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের স্বপ্ন। সেই স্বপ্নগুলো কিভাবে পূরণ হচ্ছে? যেমন কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ভাগ সবজি আমরা পাই সরাসরি মাঠ থেকে বা খামার থেকে। এভাবে কৃষক তার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে। ফলে কৃষককে তার পণ্য বিক্রির জন্য কোন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না,তার সময়ও বেঁচে যাচ্ছে। পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বাড়ছে। এভাবে কৃষকের স্বপ্ন পূরণ করা হচ্ছে। মধ্যবিত্তের স্বপ্ন কিভাবে পূরণ হচ্ছে? আগে ক্রেতারা যে সময় নষ্ট করে নানা হয়রানির মাধ্যমে ঠকে আসতো কেনাকাটার নানা জায়গা থেকে। পঁচা বা নষ্ট পণ্য কিনতে বাধ্য হতেন, তার তুলনায় পণ্যের নিশ্চিত মান ও মূল্য দিয়ে তারা এখন আমাদের পণ্য কিনতে পারছেন। ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রেখেই স্বপ্ন সবাইকে তার পণ্যের অফার করে। এ জন্য মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে স্বপ্ন নিয়ে একটা স্বস্তির জায়গা তৈরি হচ্ছে।

আমরা খেয়াল করে দেখেছি, আমাদের ক্রেতাদের বড় একটা অংশ নারী। যারা ঘরণী বা কোনো চাকরি করেন না, কিংবা তাদের স্বামীরা সবসময় ব্যবসা বাণিজ্য, চাকরি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন । তাদের জন্য নিরাপদ ও ঝামেলামুক্তভাবে বাজার করার একটা অবস্থা তৈরি করেছে স্বপ্ন। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ তাদের শালিনতা রেখে চলতে চান। তাদের জন্য শালিনভাবে, সুন্দরভাবে, পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বিড়ম্বনা ছাড়া পণ্য ক্রয় করার জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান এই স্বপ্ন আউটলেট। একজন ক্রেতার বাজার করার যে অধিকার রয়েছে সেটা স্বপ্ন নিশ্চিত করেছে। যেখানে কোনোরকম ধুলোবালি নেই, কাদা নেই, পরিচ্ছন্ন,গাদাগাদি করতে হয় না, নির্দিষ্ট মূল্যে পণ্য কেনা যাচ্ছে, মানের তারতম্য হয় না, কাঁচা পণ্যের মধ্যে যদি কোনো একটা নষ্টও থাকে তা ফেরত দেয়ার সুযোগ রয়েছে। মানুষের সময়ের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে,মানুষ কেবল ছুটছে তো ছুটছে। অর্থনীতির চাকার সাথে সাথে মানুষের জীবনের চাকাও ছুটছে অবিরাম। আর তাই আগের মতো সময় নিয়ে বাজার করার সময় কারো থাকছে না। এই ব্যস্ততায় সময় বাঁচিয়ে নিজেদের প্রতিদিনের বাজার সদাই সবাই করতে চায়। আর সে দিক দিয়ে স্বপ্ন একটা বিশাল সাচ্ছন্দ্য’র জায়গা তৈরি করেছে।

স্বপ্ন কোনদিকে হাঁটছে
এটা আরো বড় করে বলার ব্যাপার। আমরা আমাদের বিজনেস লেভেল কোরটা দেখেছি। কিছুদিন আগেও আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা করেছি। দেখা যাচ্ছে যে, কোরে কাজ করছে আমাদের কনভিনিয়ন্স। আমরা মানুষকে কনভিনিয়ন্স অফার করি। এক ছাদের নিচে সব কিছু, এই যে ব্যাপারটা এই ধারণা আমরা এখন তৈরি করতে চাই। এর অর্থ হচ্ছে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাবে স্বপ্ন।

কিভাবে বাস্তবায়ন হবে এই পরিকল্পনা
একটা হচ্ছে আমাদের নিজেস্ব স্টোর, অন্যটি ফ্রাঞ্চাইজি নির্ভর। এভাবেই সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে স্বপ্ন। তার পর আমরা অনলাইনে আসছি । আমরা খুব তাড়াতাড়ি স্বপ্ন ডটকম চালু করব। অর্থ্যাৎ স্বপ্নে ফিজিক্যাল স্টোরের পাশাপাশি আমরা ভার্চ্যুয়াল স্টোর চালু করব। ফলে দুটোই এক সঙ্গে কাজ করবে।

স্বপ্ন বাংলাদেশে এসেছে রিটেইল জগতে বিপ্লব আনার জন্য। আমি মনে করি স্বপ্ন এ পর্যন্ত যা কাজ করেছে তার মাধ্যমে অনেক পারবর্তন ঘটিয়েছে। শহরের মধ্যবিত্তের একটা বড় অংশ কাঁচা বাজারে যাওয়ার অভ্যাস থেকে আধুনিক এই বিপণন ব্যাবস্থার দিকে চলে এসেছে। এটা কিন্ত জীবনযাত্রার মানের অনেক বড় একটা পরিবর্তন। এই যে বিবর্তনটা স্বপ্ন করেছে এর ধারবাহিকতায় অনলাইনেও স্বপ্ন তার কাজ করে যাবে। কৃষক, শ্রমিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মালিকসহ দেশের আপামর জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে রিটেইল লিডার হিসেবে স্বপ্ন থাকতে চায়। জনসাধারণের আয় অনেক কষ্টার্জিত। তাদের কষ্টের আয় থেকে যাতে তারা সহজে সব কিছু ক্রয় করতে পারে সে কথা বিবেচনায় রেখে আমরা স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে চাই। কোন বিদেশি রিটেইল স্টোর আসার আগেই আমরা সারা দেশে স্বপ্নকে দেশীয় একটি ব্র্যান্ড হিসেবে সবার মাঝ ছড়িয়ে দিতে চাই। পাশাপাশি বিদেশেও স্বপ্নের পরিসর বাড়ানোর জন্য আমরা চিন্তা করছি।

ফিজিক্যাল ও ভার্চ্যুয়াল স্টোর আসলে কী
আসলে ফিজিক্যাল স্টোর হলো যেগুলো এখন আপনি দেখতে পাচ্ছেন। যা আসলে ইট পাথরের দোকান। যেমন ধরেন ওয়ালমার্ট। তাদের অধিকাংশ দোকান হচ্ছে ফিজিক্যাল স্টোর। এর বাইরে কিন্ত ওয়ালমার্ট ডটকম আছে। যেখানে আপনি অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারেন। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং সাইট হচ্ছে অ্যামাজন। তারা এরই মধ্যে একটি ফিজিক্যাল স্টোরও কিনে নিয়েছে যার নাম হোলফুড মার্কেট।

ভবিষ্যত কিন্ত অনলাইনের, অন্তত আমি মনে করি আগমী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে এ দুটো ধারার বিপণন ব্যবস্থা সমানতালে এগিয়ে যাবে। এই সম্ভাবনা মাথায় রেখেই স্বপ্ন ভার্চ্যুয়াল ব্যাপারটা নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
আমাদের যতগুলো সেন্টার রয়েছে সেগুলো দিয়েই আমরা একই সঙ্গে অনলাইনে কাজ করতে পারি। কেবলমাত্র স্বপ্নের মাধ্যমেই সম্ভব সারা দেশকে কাভারেজের মধ্যে নিয়ে আসা।

রাত ১০টার পর সার্ভিসের কোন চিন্তা আছে কি না : আমরা একটা সময় রাত ১১টা সাড়ে ১১টা আমাদের স্টোর খোলা রেখেছি। তখন দেখেছি রাত ১০টার পর কেনাকাটা এত কমে যায় যে সে সময় আউটলেট চালু রাখলে বরং আমাদের খরচ তুলনায় বেড়ে যায়। তাই আমরা এখন রাত ১০ পর্যন্ত আউটলেট খোলা রাখি। এর পরও ভবিষ্যতে আমরা চিন্তা করে দেখবো আসলে কী করা যায়?

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও রিটেইল কিন্ত রিয়েল এস্টেটের উপর ভর করে চলে। ফলে আপনি যদি খুব বড় আকারের একটা দালানকোঠা নিয়ে এরকম একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে চান তাহলে দেখা যাবে ব্যাবসায়িক দিক দিয়ে এটা করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা উত্তরায় চেষ্টা করেছি এমন একটা বড় স্টোর করতে । ২৫ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গা নিয়ে এটি করেছি। স্বপ্নের ২০ টা স্টোরই ১৫ থেকে ২০ হাজার স্কয়ারফিট জায়গা নিয়ে করা। এখান থেকে আমরা একটু এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারি। যেখানে পরিবারের সবাই মিলে বাজার করতে যাবে, কথা বলবে, খাবে, বাচ্চাদের খেলার জায়গা থাকবে। কিন্ত চাইলেও সব জায়গায় সেটা করা সম্ভব হবে না। এটা একটা বড় ব্যাপার। এখন কিন্ত ফ্যামেলি ডে-আউট হিসেবে স্বপ্নের আউটলেটগুলোকে বিবেচনা করা হয়। বন্ধের দিন পরিবারের সবাইকে নিয়ে স্বপ্নে ঘুরতে আসেন অনেকে। অনেক শিশু জীবন্ত মাছ, মোরগ দেখে আনন্দ পায়। ভবিষ্যতে আমরা বাচ্চাদের জন্য আলাদা কর্ণার করার কথা ভাবছি। বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আগামী তিন চার বছর এভাবে চললে আমরাও সেরকম হাইপার মার্কেট ফর্মেটে আসতে পারব। যেখানে পূর্ণাঙ্গ একটা থিম পার্কসহ বাচ্চাদের বিষয়গুলো থাকতে পারে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
স্বপ্নের কাছ থেকে আপনারা একটি পরিপূর্ণ সার্ভিস পেতে পারেন। যেখানে আপনি পণ্য ছাড়াও সব ধরনের সার্ভিস পেতে পারেন। আপনারা যা কিছু চাইবেন স্বপ্ন আপনাকে তাই দিতে পারবে।

আমাদের বিশেষত্ব
বিশেষবভাবে চারটা বিষয় নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। তার মধ্যে রয়েছে
প্রথম হচ্ছে,একটা খাদ্যের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা।
দ্বিতীয় হচ্ছে, মাটির স্থায়ীত্ব এবং কৃষকের জীবন জীবিকা।
তৃতীয়ত, পারিবারিক বন্ধন ও বাচ্চাদের নার্সিং এবং
চতুর্থ হলো, উৎপাদনের ক্ষেত্রে টেকনোলোজির সর্বোচ্চ ব্যাবহার।

মূলত এই চারটা বিষয় নিয়ে স্বপ্ন এখন কাজ করছে। বর্তমানে লক্ষ করলে দেখা যাবে, চিংড়ি মাছের মধ্যে জেলি পুশ করা হয় কিন্ত আমরা এ ব্যাপারটি সতর্কতার সাথে বাছাই করে নিই্। মোরগের ক্ষেত্রে প্রথমেই আমরা তার খাবারের ব্যাপারটা দেখি খাবারে ক্রোমিয়াম দেয়া থাকে কি না। থাকলে আমরা সেই মোরগ কিনি না। যে পানি দিয়ে আমরা পণ্যগুলো ধুই তার পিএইচ লেভেলটাও আমরা নিয়মিত পরীক্ষা করে নিই । খাবারে যাতে ভেজাল না থাকে এর জন্য প্রতিটি ধাপে পরীক্ষা করিয়ে নিই। যাতে করে নিশ্চিত করা যায় যে ক্রেতাদের কাছে আমরা স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ পণ্য উপহার দিচ্ছি। ভবিষ্যতে আমরা হরমোন দিয়ে মোটাতাজা করা গরুর মাংস বেঁচব না। কেবল প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা গরুর মাংস আমরা দিব। এই ব্যাপারগুলো একমাত্র খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য করব। আমাদের ভবিষ্যত কিন্ত আমাদের বাচ্চারা, তারা কি খেয়ে বড় হবে তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। সুতরাং এ ব্যাপারগুলো নিয়ে আমরা সতর্ক। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি। এমন একটা সময় আসবে যখন স্বপ্নের একটা বড় ল্যাবরেটরিও থাকবে। যেখানে আমরা পণ্যের গুণগত মান নির্ণয় করব। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা সেগুলো রাখব বা বাজারজাত করব। এখন আমরা ব্র্যান্ডিংয়ের ওপর ভরসা করেই সব পণ্য রাখছি। ভবিষ্যতে হয়তো এমন নাও হতে পারে।

সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আমরা আমাদের ব্রাঞ্চ নিয়ে যাব। ২০১৮ সালের মধ্যে স্বপ্ন তার ব্র্যান্ড নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে চলে যাবে বলে আমি আশা রাখি। আমাদেরও অনেক ভুলত্রুটি রয়েছে। তা ছাড়া এত বড় একটা রিটেইল স্টোর চালাতে গেলে সাধারণত জনসাধারণের ওপর নির্ভর করতে হয়। স্বপ্নের ২২শ কর্মী আছে। যাদের সবাই ছাত্র। এই ছাত্ররা মফস্বল থেকে শহরে আসে পড়ালেখার জন্য। বিভিন্ন ভার্সিটিতে তারা ভর্তি হয়। তারা আমাদের এখানে কাজের মাধ্যমে নিজেদের পড়ার খরচ চালাচ্ছে। পাশাপাশি অনেকে তাদের আয়ের কিছু টাকা তাদের বাড়িতেও পাঠায়। এই ছেলেরা সহজ সরল হলেও তারা এখানে কাজ শিখছে। নিজেরা কিছু আয় করতে পারছে। অদের জীবনেও স্বপ্ন আছে , কাজ করতে গিয়ে তারা ভুল করতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের ভালোভাবে প্রশিক্ষিত করার। তারপরও অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছু ভুল হয়ে যায়। মানুষ মাত্রই ভুল করে। আমি বলব, আমাদের যারা ক্রেতা তারা বিরক্ত না হয়ে যদি কোথাও কোন ভুলত্রুটি হয় তা হলে ক্ষমাসুন্দরভাবে এই স্বপ্নটাকে নিজের মতো করে ভাববেন। এবং এই বিচ্যুতিগুলো ওখানেই শুধরে দেয়ার চেষ্টা করবেন। আমার পক্ষে বা স্বপ্নের যে ছোট্ট একটা ম্যানেজিং টিম তাদের পক্ষে যে পরিমাণে স্বপ্নের পরিসর বেড়েছে সেখানে গিয়ে এসব সমস্যার সমাধান করা চাইলেও সম্ভব হবে না। যেখানে আমার ৪০ হাজার ক্রেতা ৪০ হাজার পণ্য ক্রয় করে সেখানে তো ছোটখাটো ভুল হতেই পারে। মানুষের সহযোগিতা ছাড়া আমরা একা এগিয়ে যেতে পারব না। একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে অসংখ্য শিক্ষার্থী আমাদের এখানে কাজ করছে। কৃষকেরা তাদের পণ্য আমাদের কাছে দিয়ে তাদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে। আপনার আমার সঙ্গে তাদের স্বপ্নও কিন্তু ‘স্বপ্নে’ জড়িয়ে আছে। আপনারা আমাদের ওপর থেকে আস্থা হরাবেন না। ধৈর্য্যচ্যুত হবেন না। প্রয়োজনে আপনাদের বিভিন্ন পরামর্শের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন। এর জন্য প্রতিটা স্টোরে আমাদের ম্যানেজারের কাছে আপনাদের অভিযোগ জানাতে পারেন। আমাদের কল সেন্টারে অভিযোগ দিতে পারেন। তাছাড়া আমি সবসময় আপনাদের জন্য রয়েছি। যে কোন সময় ইন্টারনেটে আমার ফোন, মেইল আইডি দেয়া আছে আপনারা সেখানেও আমাকে সরাসরি জানাতে পারেন।
এখন স্বপ্ন এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে, যেখানে ক্রেতাদের এই প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠান ভেবে কাজ করতে হবে। আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। তাহলে তাদের সেবায় আমরা আরো বেশি এগিয়ে যেতে পারবো।

সাব্বির হাসান নাসির
নির্বাহী পরিালক
এসিআই লজিস্টিকস