সব হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশের সব হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত অগ্নিনির্বাপণ মহড়া ও যন্ত্রপাতি পরীক্ষার নির্দেশও দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এসকল কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে। এর অংশ হিসেবে ফায়ার অ্যালার্ম, স্মোক ডিটেকটর ও হোস্ট পাইপসহ উন্নত ব্যবস্থা থাকবে। ইতোমধ্যে আমরা এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। সর্বশেষ এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতের জন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। কেউ বিনা চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

মন্ত্রী বলেন, দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর হার বাড়ছে। বর্তমানে বছরে দেড় লাখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। আর মারা যায় এক লাখ। বর্তমানে ১৮ লাখ ক্যান্সার রোগী আছে। আর কিডনী আক্রান্ত হয় কোটির বেশি। এখন মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। কিন্তু তারা ব্যায়াম করছে না। এতে তাদের ডায়াবেটিসহ বিভিন্ন রোগ হচ্ছে। খাদ্যে ভেজাল মেশানো হচ্ছে, যা নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। আর বায়ু দূষণের বিয়টিও রয়েছে। ইটভাটাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দূষিত বায়ু ও ওয়াটার পলিউশন এর জন্য দায়ী।

তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে দৈনিক ১০ লাখের বেশি লোক সেবা নিয়ে থাকে। নতুন নতুন হাসপাতালগুলোও রোগীদের সেবা দিচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমাদের দেশে আর ওষধের অভাব হবে না। বিভিন্ন ওষধ বাংলাদেশে তৈরী হবে।

সারাদেশে প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের জন্য ডেস্ক খোলার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, জেলা উপজেলা  হাসপাতাল আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এখন বাইপাস সার্জারি দেশেই হচ্ছে। আমাদের ওষুধ প্রশাসন মান নিয়ন্ত্রণ করে ভালো কাজ  করছে। ভালো ওষুধ তৈরী না করলে তা বন্ধ করে দেয়া। যে সকল কারখানা নিয়ম মানবে না, মেশিনারিজ নেই, জনবল নেই তাদের বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্হ সেবা নিশ্চিত করার জন্য ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে, আগামী মাসে নিয়োগ সম্পন্ন হবে।