সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের আহ্বান অর্থমন্ত্রীর

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল শনিবার সর্বোচ্চ সুফল পেতে দেশের সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় (পিএমও)-এ স্টেট ওউন্ড এন্টারপ্রাইজেস অ্যান্ড কোঅপারেশনস এর ওপর পিএমও’র অধীন গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) আয়োজিত এক কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি সুফল পাওয়ার জন্য আমাদের সীমিত সম্পদের সবচেয়ে কার্যকর ব্যবহার করতে হবে।’

পিএমও-তে এসডিজি সম্পর্কিত মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিএমও সচিব সাজ্জাদুল হাসান।

অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব (সমন্বয় ও পুনর্গঠন) শেখ মুজিবুর রহমান। শিল্প সচিব এবং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট ডিভিশন ও পাওয়ার ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ সচিবগণ আরো তিনটি পৃথক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে একটি সেতুবন্ধ থাকার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে কামাল বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি উভয় খাতই পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। বেসরকারি খাত অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।’

তিনি সরকারি ও বেসরকারি খাতের দূরত্ব ঘোঁচাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, উভয় খাতকেই বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই টিকে থাকতে হবে।

তিনি গুণগত মানের গুরুত্বের বিবেচনার পাশাপাশি ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য সরকার সব ধরনের লজিস্টিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০৩১ সাল নাগাদ একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশে পরিণত হবে।

গত অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের বেশি ছিল উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে আমরা ২০২৪ সাল নাগাদ ডবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারব এবং এটা ২০৪১ সাল পর্যন্ত ধরে রাখতে পারব। আর এভাবেই আমরা বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দেশের অন্যতম হতে পারব।’

তিনি ৪র্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

মো. আবুল কালাম আজাদ জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে পারস্পারিক সহায়তা ও সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেশনগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

সাজ্জাদুল হাসান বলেন, যদি রাষ্ট্র মালিকানাধীন এন্টারপাইজ ও কর্পোরেশনগুলো পারস্পারিক সমঝোতা ও সহযোগিতা বজায় রাখে তবে যথা সময়ে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ থেকে ভিয়েতনাম যতটা লাভবান হচ্ছে, আমরা সেই তুলনায় কিছুই অর্জন করতে পারছি না। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/এমএইচ