সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

সরকারি বেতন স্কেলের নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে নিয়োগে সব ধরনের কোটা তুলে দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।

বুধবার (৩ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে সরাসরি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকছে না। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনির চাকরিতে কোটা থাকবে কিনা সময়ের প্রয়োজনে বিবেচনা করবেন সংশ্লিষ্টরা।

তিনি বলেন, আজ কালের মধ্যেই মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে। সে অনুসারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। এ নিয়ে সব মিলিয়ে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে।

এর আগে কোটা পর্যালোচনায় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তাদের সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠান। গত ১৭ অক্টোবর কোটা পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। সেখান থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আজ সেটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতি বহাল আছে। মেধা কোটায় চাকরি হচ্ছে ১০০ জনের মধ্যে মাত্র ৪৪ জনের।

এটিকে বৈষম্য দাবি করে চাকরি প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে কোটা বাতিলের দাবি করে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টানা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন ‘কোনো কোটাই থাকবে না’। সব নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে।

আজকের বাজার/এমএইচ