সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের দাফন সম্পন্ন

প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ বাদ জোহর রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে মিজানুর রহমান খানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জানাজায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, আইনজীবী ও সাংবাদিকেরা অংশ নেন। জানাজা শেষে মিজানুর রহমান খানের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পরে বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাঙ্গণে মিজানুর রহমান খানের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বর্তমান ও সাবেক নেতারা অংশ নেন। এ ছাড়া ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকেরা জানাজায় অংশ নেন। সেখানেও জানাজা শেষে মিজানুর রহমান খানের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়াও সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর তার মরদেহ নেয়া হয় কারওয়ান বাজারে তার কর্মস্থল প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে। সেখানে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সহকর্মীরা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
প্রায় দেড় মাস করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে সোমবার সন্ধ্যায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি মা, স্ত্রী, তিন সন্তান, পাঁচ ভাই, তিন বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মিজানুর রহমান খানের ভাই সিদ্দিকুর রহমান খান দৈনিক শিক্ষার সম্পাদক এবং মশিউর রহমান খান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।
পারিবারিক সূত্র জানায়, মিজানুর রহমান খানের করোনার নমুনা পরীক্ষায় ২ ডিসেম্বর পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ৫ ডিসেম্বর তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। সেখানে সমস্যা বাড়লে গত ১০ ডিসেম্বর তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার বিকেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান তার প্রায় ৩ দশকের বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবনে দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। আইন ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকতায় তার ছিল অসামান্য অভিজ্ঞতা।
বরিশালের বিএম কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী মিজানুর রহমান খান তিন দশক ধরে সাংবাদিকতা করেছেন। সংবিধান ও আইন নিয়ে লেখালেখি করেন। উল্লেখযোগ্য বই সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক, ১৯৭১: আমেরিকার গোপন দলিল।