সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কুল চাষ

কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় সাতক্ষীরার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছে কুল চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । অল্প সময়ে অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে এর আবাদ। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে শত শত মেট্রিক টন কুল যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। সাতক্ষীরার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কুল চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ করে সাতক্ষীরা কৃষকরা ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছে। মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় জেলার চাষিরা কুল উৎপাদনে রীতিমত বিপ্লব সৃষ্টি করেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার মাটি কুল চাষের জন্য উপযোগী। মূলত ২০০০ সালের পর থেকে এ জেলায় বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ শুরু হয়। ফসলটি লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসল উৎপাদন কমিয়ে জেলার শত শত কৃষক কুল চাষ শুরু করেছে। জেলায় বাউকুল, আপেলকুল, তাইওয়ানকুল, নারিকেলি, ঢাকা নাইনটিসহ বিভিন্ন জাতের কুল চাষ হয়ে থাকে । চলতি বছর জেলায় ৬৬০ হেক্টর জমিতে কুলের আবাদ হয়েছে। এতে ৭ হাজার মেট্রিক টন কুল উৎপাদন হবে বলে কৃষি বিভাগ জানান।

কুল চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। প্রতি কেজি কুলের পাইকারি মূল্য ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সব খরচ বাদে বিঘা প্রতি ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব। সাতক্ষীরার উৎপাদিত সব ধরনের কুলের দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ জেলার উৎপাদিত কুল জেলার চাহিদা মিটিয়ে খুলনা, ঢাকা ও চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়ে থাকে।

তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা এলাকার কুল চাষি কল্যাণ ঘোষ জানান, কুল চাষ লাভজনক একটি ফসল। সাতক্ষীরার বাজারে এক কেজি কুলের দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর কুলের ফলন যেমন ভালো হয়েছে তেমনি দামও বেশ ভালো। ফলে চাষিরা অন্য বছরের তুলনায় এ বছর লাভবান হচ্ছে বেশি। সরকার চাষিদের সহজ শর্তে ঋণ দিলে জেলায় কুল চাষ আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরবিন্দু বিশ্বাস জানান, এ বছর সাতক্ষীরায় কুলের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা দামও পাচ্ছে ভালো। ফলে এবার কুল চাষিরা বেশ লাভবান হবে। সরকার কুল চাষিদের সব ধরণের সহযোগিতা করেছে। সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান