বনের ৬ কিলোমিটারের মধ্যে এসব কারখানা হবে

সুন্দরবনের কাছে ৫ সিমেন্ট কারখানাকে পরিবেশ ছাড়পত্র

সুন্দরবনের সঙ্কটাপন্ন এলাকার মধ্যেই পরিবেশ (বায়ু) দূষণকারী কয়েকটি সিমেন্ট কারখানাকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দিয়েছে সরকার।

শনিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এ কথা জানান।

ছাড়পত্র পাওয়া প্রতিষ্ঠানসমূহ হলো- মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, বসুন্ধরা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, মোংলা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, দুবাই-বাংলা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড এবং হোলসিম (বাংলাদেশ) লিমিটেড। খবর ইউএনবি।

প্রসঙ্গত, সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের বাইরের চতুর্দিকে ১০ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকাকে সরকার প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করছে। আর এসব সিমেন্ট কারখানাগুলো সঙ্কটাপন্ন এলাকার ৬ কিলোমিটারের মধ্যে।

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খানের (সংরক্ষিত আসন-৪৮) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাগেরহাট জেলার মোংলা বন্দর শিল্প এলাকায় পরিবেশ দূষণকারী সিমেন্ট কারখানাগুলোকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর এসব কারখানাগুলো নিয়মিত তদারকি করছে এবং কারখানাগুলো উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে যাতে করে তারা পরিবেশ দূষণ করতে না পারে।

পাশাপাশি, সেখানে আরও শিল্প সংক্রান্ত বিষয়াবলী রয়েছে যেমন এলপিজি প্লান্ট, কিন্তু সেগুলো পরিবেশ দূষণীয় নয়, যোগ করেন শাহাব ‍উদ্দিন।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের (মানিকগঞ্জ-২) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনে সুন্দরী গাছের সংখ্যা কিছুটা কমতে থাকলেও গেওয়া গাছ তুলনামূলক বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৮৫ সালে সুন্দরবনের ২০ শতাংশ গাছ ছিল সুন্দরী, কিন্তু ২০১৩ সালে তা হয়েছে ১৮ শতাংশ। অপরদিকে এ সময়ে গেওয়া গাছ ৪.৫ শতাংশ থেকে ৫.২৫ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ