স্কুল নয়, যেন জাতীয় পতাকা

জাতীয় পতাকার আদলে সাজানো হয়েছে জয়পুরহাটের বাগজানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ঘর, দরজা, জানালা সাজানো হয়েছে জাতীয় পতাকার আদলে।খবর বাসস।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, বৃটিশ আমলে নির্মিত তহসিল অফিসের পাশে (কাচারী ঘর) ছোট যমুনা নদীর কোল ঘেঁষে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত ওই বাগজানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় সবগুলো ক্লাসে শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন শিশুদের। শ্রেণী কক্ষ গুলোতে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে মনীষীদের ছবি প্রদর্শনসহ ফুল, ফল, বাঘ, হরিণ নদীর ছবি আঁকা হয়েছে। যাতে করে শিশুরা ছোট বেলা থেকেই মনীষী দের জীবন কর্ম সম্পর্কে জানতে পারে এবং দেশের জাতীয় ফল, পাখি ও নদী সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারে।

শিক্ষার্থীরা যে দিকে তাকাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সে দিকে রয়েছে শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন বাণী। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ২৬৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, শিক্ষক রয়েছেন ৭ জন। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সৎ, যোগ্য ও আদর্শ নাগরিক তৈরির জন্য কো-এডুকেশন হিসেবে কাব-স্কাউটিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কানিজ ফাতেমা বলেন, বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকারের নিকট থেকে প্রাপ্ত সংস্কার ও মেরামত কাজের বরাদ্দ এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের সহায়তায় বিদ্যালয়টিকে জাতীয় পতাকার আদলে দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো সম্ভব হয়েছে।

বিদ্যালয়ের ঘর, দরজা, জানালাসহ সবকিছু রং করা হয়েছে জাতীয় পতাকার আদলে। ফলে দূর থেকে দেখলে মনে হবে স্কুল নয়, যেন জাতীয় পতাকা। যে কোন উন্নয়নের জন্য টাকা বা সম্পদ কোন বিষয় নয়, শুধু মানসিকতার প্রয়োজন। তেমনি ইচ্ছা থাকলে বিদ্যালয়কে শিক্ষার উপযোগী করে সাজানো যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা কানিজ ফাতেমা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পোশাকও আগে থেকে নির্ধারিত ছিল জাতীয় পতাকার আদলে সবুজ জামা আর লাল প্যান্ট বলে জানান প্রধান শিক্ষিকা কানিজ ফাতেমা।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান