স্বর্ণসহ ৫ রপ্তানি পদক পেল প্রাণ-আরএফএল

রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য সেরা রপ্তানিকারকের পুরস্কার পেয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রæপের পাঁচ প্রতিষ্ঠান। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখায় দেশের শীর্ষ এ গ্রæপকে স্বর্ণসহ পাঁচ রপ্তানি পদক দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক হিসেবে এ নিয়ে টানা ১৬ বার সেরা রপ্তানিকারকের পুরস্কার অর্জন করলো প্রাণ-আরএফএল গ্রæপ।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের এগ্রো প্রসেসিং খাতে (তামাকজাত পণ্য ব্যতীত) সেরা রপ্তানিকারক হিসেবে প্রাণ এগ্রো লিমিটেড স্বর্ণপদক ও হবিগঞ্জ এগ্রো লিমিটেড ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে।

অপরদিকে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে আরএফএল গ্রæপের সহযোগি প্রতিষ্ঠান ডিউরেবল প্লাস্টিকস লিমিটেড ও অলপ্লাস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড। পাশাপাশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানিতে রৌপ্য পদক পেয়েছে রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে রপ্তানি পদক গ্রহণ করেন প্রাণ-আরএফএল গ্রæপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, প্রাণ গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা, আরএফএল গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরএন পাল, অলপ্লাস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাঈদ হোসেন চৌধুরী ও প্রাণ-আরএফএল গ্রæপের পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী। পাঁচ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে এ পুরস্কার নেন তারা।

প্রাণ গ্রæপ ১৯৯৭ সালে ফ্রান্সে অ্যাগ্রো প্রসেসিং পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে পা রাখে। বর্তমানে বিশ্বের ১৪১টি দেশে প্রাণ-আরএফএল এর পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রæপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, “আমাদের ব্র্যান্ডের ওপর বিশ্ব ব্যাপী ভোক্তাদের আস্থা রাখার জন্য এসব পদক পাওয়া সম্ভব হয়েছে। প্রাণ-আরএফএল গ্রæপ সবসময় ক্রেতাদের চাহিদানুয়ায়ী পণ্য তৈরি করে থাকে। সেরা রপ্তানিকারক পদক প্রাপ্তিতে আমরা গর্বিত”।

তিনি আরও বলেন, প্রাণ-আরএফএল পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত ও মধ্যপ্রাচ্য। এছাড়া আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকাসহ বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তেই প্রাণ-আরএফএল পণ্য পৌঁছে গেছে।