স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানি বিধিমালা অনুমোদন

কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজ রুলস ২০১৮ অনুমোদন করলো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২০ নভেম্বর কমিশনের ৬৬৬তম কমিশন সভায় এই বিধিমালার চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।

তথ্যানুযায়ী গত ২৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত ৬৪২তম কমিশন সভায় বিধিমালাটির খসড়া অনুমোদনের পর জনমত যাচাইয়ের জন্য তা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সবিস্তার প্রকাশ করা হয়। প্রাপ্ত জনমত যাচাই-বাছাই করে কিছু পরিমার্জন ও পরিবর্তন করে তা কমিশন সভায় অনুমোদন হলো। শিগগিরই বাংলাদেশ গেজেটে চূড়ান্ত বিধিমালাটি প্রকাশ করা হবে।

বিধিমালা অনুযায়ী, ন্যূনতম ৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন রয়েছে; এমন কোম্পানিকে স্বল্প মূলধনি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কোম্পানির তালিকাভুক্তি ও লেনদেনের জন্য গঠিত আলাদা প্লাটফর্মের নামকরণ করা হয়েছে ‘স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম’।

এ প্লাটফর্মে তালিকাভুক্তির পর কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা হতে হবে। কোনো অবস্থায় তালিকাভুক্তির পর কোনো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার বেশি হতে পারবে না। বেশি হলে তাকে মুল ট্রেডিং প্লাটফর্মে চলে যেতে হবে। অর্থাৎ সে কোম্পানিকে স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম থেকে বের হয়ে যেতে হবে।

স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলো শুধু ‘কোয়ালিফাইড ইনভেস্টরস অফার’ বা কিউআইও-এর মাধ্যমে এই বাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারবে। এ ধরনের কোম্পানিতে বিনিয়েগের ঝুঁকি থাকায় শুধু নির্দিষ্ট শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের জন্যই এই স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচার সুযোগ রাখা হয়েছে। শুধু যোগ্য বিনিয়োগকারীরা এসব কোম্পানির লেনদেন করতে পারবেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এই প্লাটফর্মে কেনা বেচা করতে পারবে না।
বলা যায়, ছোট মূলধনি সম্ভাবনাময় কোম্পানিগুলোর পুঁজি উত্তোলনের পথ মসৃণ করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।