২০২৩ সালের মধ্যে সকল গ্রাহকদের স্মার্ট প্রিপেইড মিটার সরবরাহ করবে ডেসকো

ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ২০২৩ সালের মধ্যে গ্রাহকদের স্মার্ট প্রিপেইড মিটার সরবরাহ করবে।
রবিবার সন্ধ্যায় ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওছার আমীর আলী ‘শতভাগ বিদ্যুতায়নের পর চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।

ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তব্য দেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, বাংলাদেশ শপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল এবং রিভারি পাওয়ার অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল হক সুহান প্রমুখ।

সেমিনারটি পরিচালনা করেন পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি পত্রিকার সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেন।

ডেসকো মিরপুর, পল্লবী, কাফরুল, কল্যাণপুর, ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান, বনানী, বারিধারা, মহাখালী, উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, বাড্ডা ও পূর্বাচলসহ রাজধানীর পশ্চিম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ২২৫ বর্গকিলোমিটারের বিদ্যুত বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে।

এর প্রায় ১০ লাখ গ্রাহক রয়েছে যার মধ্যে মিরপুর ও উত্তরায় প্রাথমিকভাবে কিছু প্রিপেইড মিটার সরবরাহ করা হয়েছে।

বিদ্যুত সরবরাহ অব্যাহত রাখতে, এই অঞ্চলের গ্রাহকদের বিভিন্ন এজেন্ট অথবা দোকান থেকে তাদের প্রিপেইড মিটার কার্ড রিচার্জ করতে হয়।

‘তবে একবার স্মার্ট প্রিপেইড মিটার লাগানো হয়ে গেলে গ্রাহকদের আর দোকানে গিয়ে রিচার্জ করার দরকার পড়বে না। বরং তারা বিদ্যুত সেবা অব্যাহত রাখতে দেশে বা বিদেশের যেকোনো স্থান থেকে রিচার্জ করতে পারবেন,’ বলেন কাওছার আমীরআলী।

তিনি আরও জানান যে কোম্পানি ২০২৩ সালের মধ্যে ১৩৩ কেভি ঝুলন্ত বিদ্যুতের লাইনকে মাটির নিচে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে।

প্রাথমিকভাবে, একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় এ জাতীয় ভূগর্ভস্থ তার স্থাপন কাজ শুরু হবে গুলশান অঞ্চলে এবং ধীরে ধীরে এই প্রকল্পটি অন্য অঞ্চলে বাস্তবায়ন করা হবে।

এক্ষেত্রে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর সড়কটি অগ্রাধিকার পাবে বলেও জানান তিনি।

বিকাশ দেওয়ান বলেন, ডিপিডিসিও ঝুলন্ত বিদ্যুতের লাইনগুলোকে ভূগর্ভে নিয়ে যাওয়ার প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং ধানমন্ডি এলাকায় প্রথম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

‘তবে এই কাজটি ডিপিডিসির পক্ষে একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ এটির বিদ্যুত বিতরণ শহরের পুরানো অংশে খুব সরু অঞ্চলে চলছে। বিতরণ সংস্থাকে বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে,’ বলেন তিনি।

সূত্র – ইউএনবি