৩৭ জন বিচারক করোনায় আক্রান্ত

ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা এবং দায়িত্ব পালনের সময় সারা দেশে এ পর্যন্ত অধস্তন আদালতের ৩৭ জন বিচারক, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এর ৩৮ জন কর্মচারী এবং অধস্তন আদালতের ১০১ জন কর্মচারী করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ও মুখপাত্র মোহাম্মাদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানান।

এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন অধস্তন আদালতের ১০ জন বিচারক। লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) জনাব ফেরদৌস আহমেদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ জুন ঢাকা সিএমএইচে মৃত্যুবরণ করেন। কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে ১৮ জুন ২০২০ খ্রি জনাব মো কাউসার, জারীকারক, মাদারীপুর জেলা জজ আদালত এবং ১৯ জুন জনাব মহিউদ্দিন মোহন, অফিস সহায়ক, নওগাঁ জেলা জজ আদালত মৃত্যুবরণ করেছেন।

মাগুরার জেলা জজ জনাব মোঃ কামরুল হাসান (জেলা জজ) মাগুরা বর্তমানে ঢাকার কুর্মিটোলা হাস্পাতালে এবং ভোলার জেলা জজ জনাব এ বি এম মাহমুদুল হক ঢাকার ইউনিভার্সেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

সর্বপ্রথম ২২ মে খ্রি নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ জনাব শাহাজাহান কবির এবং মুন্সিগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব বেগম রোকেয়া রহমান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং তারা বর্তমানে সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন জনাব কিরণ শংকর হালদার, বিচারক (জেলা জজ), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, কিশোরগন্জ, জনাব বেগম শামীম আহমেদ, বিশেষ জজ (সিনিয়ার জেলা জজ), বিশেষ জজ আদালত-৮, ঢাকা, জনাব মোঃ রুস্তম আলী, বিচারক (জেলা জজ), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, জয়পুরহাট, জনাব এস মোহাম্মদ আলী, উপ সচিব (জেলা জজ), আইন ও বিচার বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়, জনাব মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা জজ, কুমিল্লা, জনাব মাসুদ পারভেজ, যুগ্ম জেলা জজ, সিলেট, জনাব তসরুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী জজ, ঢাকা এবং বেগম রেজমিন সুলতানা, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট, ডিপিডিসি,ঢাকা।

উক্ত ১৩ জন বিচারক ব্যতিত অধস্তন আদালতের অন্য যে বিচারকগন বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসগৃহে চিকিৎসাধীন আছেন তারা হচ্ছেন- জনাব মো আব্দুর রহিম, মহানগর দায়রা জজ, সিলেট, জনাব শামসুল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চাঁদপুর, জনাব মো রেজাউল করিম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কক্সবাজার, জনাব সৈয়দ মাসফিকুল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা, জনাব মোঃ আলমগীর ফারুকী, অতিরিক্ত জেলা জজ, নোয়াখালী, জনাব মুহাম্মাদ মাহবুব আলম, অতিরিক্ত জেলা জজ, বরিশাল, জনাব শহীদুল্লাহ কায়সার, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম, জনাব মাসুদ জামান, যুগ্ম জেলা জজ, নারায়ণগঞ্জ, জনাব মোঃ তৈয়ব আলী, বিচারক, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল, কুড়িগ্রাম, জনাব প্রনব কুমার হুই, সিনিয়ার সহকারী জজ, খুলনা।

আরও আছেন জনাব তাজুল ইসলাম মিয়া, সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নওগাঁ, জনাব সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নওগাঁ, জনাব বেগম সুমাইয়া রহমান, সিনিয়ার সহকারী জজ, ঢাকা, জনাব মো ইকবাল হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, গাজীপুর, জনাব মোঃ মেহেদী হাসান, সহকারী জজ, নেত্রকোনা, জনাব শিপলু কুমার দে, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চট্রগ্রাম, জনাব আবু সালেহ্ মোহাম্মদ নোমান, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম, জনাব মোঃ নিজামউদ্দিন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, হাতিয়া চৌকি আদালত, নোয়াখালী, জনাব মো হাসান, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, খাগড়াছড়ি, জনাব আনোয়ার হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, জকিগঞ্জ চৌকি,সিলেট, জনাব রাজিব হাসান, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা, জনাব ইসরাত জাহান, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা, জনাব সারওয়ার আহমেদ, সহকারী জজ, খুলনা, জনাব আশিকুর রহমান, রিসার্চ এন্ড রেফারেন্স অফিসার, আপীল বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হতে আক্রান্ত বিচারক এবং কর্মচারীর চিকিৎসা বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা জেলা জজগণকে অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের সাথে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং সময় সময় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি মহোদয়কে অবহিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি মহোদয়গণের কোভিড-১৯ সংক্রান্তে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া অধস্তন আদালতের বিচারকগণের কোভিড-১৯ জনিত চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার এর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের অপর একটি কমিটি সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে।