আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশে দুর্ভিক্ষ নামে: রিজভী

ফাইল ছবি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের দুঃশাসন, লুটপাট ও দুর্নীতির করালগ্রাসে দেশে এখন নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে।’

আজ শুক্রবার সকালে দলটির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশে দুর্ভিক্ষ নামে। ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষের কথা মানুষ এখনো ভুলে যায়নি। কুড়িগ্রামের ঘটনা ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষেরই আলামত। বিশ্বের কোথাও ক্ষুধার্ত মানুষকে নিয়ে এত নির্মমতা নজিরবিহীন। এরা এত নিষ্ঠুর যে ক্ষুধার্ত মানুষকে গুলি করতেও দ্বিধা করে না।’

রিজভী বলেন, ‘গত বছরের বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকের ফসলহানির পর সরকারের সব দিকে ব্যর্থতার কারণে চালের দামসহ সব খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মানুষ এখন ঠিকভাবে দুবেলা দুমুঠো ভাতও পাচ্ছে না।’

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান সরকার চায় ভোট ছাড়া আবারও কীভাবে ক্ষমতা ধরে রাখা যায়। সেই পথের নকশা এঁটেই খালেদা জিয়াকে জাল নথির মিথ্যা সাজানো মামলায় কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এবার জনগণের ভোটাধিকার জনগণ প্রয়োগ করবেই। যেকোনো ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন কখনো বৃথা যায় না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনের কাছে সরকার যেভাবে মাথানত করেছে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ন্যায্য আন্দোলনও বৃথা যাবে না। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই সেই আন্দোলনে বিজয় অর্জিত হবেই।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না দাবি করে এ সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়াবিহীন জাতীয় নির্বাচন আর এ দেশে অনুষ্ঠিত হবে না, জনগণ তা হতে দেবে না। আর বেশি সময় নেই, আপনাদের সুস্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, এ মুহূর্তে সর্বপ্রথম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আর তা না হলে জনগণ আর অপেক্ষা করবে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং শেখ হাসিনার পতন একসঙ্গে সংঘটিত হবে।’

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দলের যুগ্ম মহাসচিব মেয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু।

আজকের বাজার/আরজেড