পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে আজীবনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদে অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসারের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এই রায় দিয়ে নওয়াজের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ নিয়ে সৃষ্ট অস্পষ্টতা দূর করেন।
রাষ্ট্রীয় পদে নওয়াজ শরিফের অযোগ্যতা আজীবনের জন্য, নাকি নির্দিষ্ট কোনো সময়ের জন্য, সে বিষয়ে একধরনের অস্পষ্টতা ছিল। কিন্তু আজ দেশটির সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিলেন, তাতে নওয়াজ শরিফের ক্ষমতায় ফেরার আশা সারা জীবনের জন্য শেষ হয়ে গেল।
গেলো বছরের ২৮শে জুলাই পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারি মামলায় পাকিস্তানের হাইকোর্ট সংবিধানের ৬২ ধারা অনুযায়ী নওয়াজকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করেন। সুপ্রিম কোর্ট অযোগ্য ঘোষণার পর পদত্যাগ করেন সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ।
ওই রায়ে বলা হয়, ২০১৩ সালে নির্বাচনের হলফনামায় নওয়াজ শরীফ দুবাইভিত্তিক একটি কোম্পানির চেয়ারম্যান পদে থাকার কথা গোপন করেছেন। এ কারণে তিনি এখন আর সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করার যোগ্য নন। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন বিচারপতি সর্বসম্মতভাবে ওই রায় দেন।
পাকিস্তানের দ্য ডন অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়টি ঐতিহাসিক। এই রায় দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসের গতিপথ বদলে দেবে। এদিকে এই রায়কে হাস্যকর এবং গভীর ষড়যন্ত্র বলেছে নওয়াজ শরীফের দল।
পাকিস্তানের সংবিধানের ৬২ (১) (এফ) ধারা অনুসারে, ওই রায়ের পর নওয়াজ আজীবনের জন্য অযোগ্য কী না তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। দেশটির সংবিধানের ধারা ৬২(১) অনুযায়ী, দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য হওয়ার পূর্ব শর্ত হলো ব্যক্তিকে সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ হতে হবে। রায় ঘোষণার আগে প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসার বলেন, দেশের জনগণ ভালো চরিত্রের নেতা পাওয়ার দাবিদার।
এস/
