আজ তরুণদের মুখোমুখি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

তরুণদের চিন্তা-ভাবনার কথা শুনতে এবং তাদের সঙ্গে নিজের মতামত বিনিময় করতে ‘লেট’স টক’ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।

১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠানটি আয়োজনের কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে ২৩ নভেম্বর ঠিক করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন। সেই সঙ্গে তরুণদের কাছ থেকে শুনবেন দেশ গঠনে তাদের পরিকল্পনা ও পরামর্শের কথা। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনে বারবার উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্মের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতৃত্ব।

তরুণদের কাছে প্রধানমন্ত্রী কেন জনপ্রিয়, সেটি আরও একবার প্রমাণ করতে ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত তরুণদের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী সারাদেশ থেকে আসা ১৫০ জন তরুণের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী বিষয়ে আলোচনা করবেন। বিভিন্ন পেশাজীবী, চাকরিজীবী, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং দেশ গঠনে উদ্যমী তরুণ প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন এই অনুষ্ঠানে।

তরুণদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নেয়া বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে উন্নত বাংলাদেশ গড়ায় বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সুযোগ পাবেন এই তরুণেরা।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘প্রথমবারের মতো’ কোনও প্রধানমন্ত্রী তরুণদের মুখোমুখি হচ্ছেন। বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিতে এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার তারুণ্যের সময় নিয়ে নতুন বেশকিছু তথ্য জানাবেন। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী তরুণদের উৎসাহিত করতে নিজের তরুণ বয়সের কিছু তথ্যও তরুণদের জানাবেন।

এ প্রসঙ্গে সিআরআই-এর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস বলেন, তরুণরা যাতে দেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে খোলামেলাভাবে আলোচনা করতে পারেন এবং নিজেদের ভাবনা ও সমস্যাগুলোর কথা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন সেজন্য সিআরআই নিয়মিত এই আয়োজন করে আসছে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদকে নিয়ে এর আগে বেশ কয়েকবার ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে এ অনুষ্ঠানের।

শামস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় তরুণদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে চেষ্টা করেন। সেজন্য তিনি তার কাছে সাধারণ মানুরেষর লেখা চিঠি পড়েন এবং নিয়মিত এগুলোর উত্তর দেন।