আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করা ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার লেনদন শুরু হবে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ‘এন’ গ্রুপের আওতায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড ‘আইবিপি’ এ লেনদেন হবে। আর কোম্পানি কোড হবে ১৮৪৯৪।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত বছরের ৩ অক্টোবর ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসকে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেয়।
কারখানা, প্রশাসনিক ভবন, গুদাম ও গ্যারেজ নির্মাণ, মেশিনারিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতের ব্যয় মেটাতে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে কোম্পানিটিকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বিএসইর অনুমোদন নিয়ে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস ১০ টাকা অবিহিত মূল্যে আইপিওতে দুই কোটি শেয়ার ছাড়ে। এক দফা পিছিয়ে গত ৯-১৬ আগস্ট পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আইপিও আবেদন গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি।
আইপিওতে চাহিদার অতিরিক্ত আবেদন পড়ায় লটারির মাধ্যমে শেয়ার প্রাপ্ত বিনিয়োগকারী নির্ধারণ করা হয়। কোম্পানিটির আইপিওতে ৩৪ দশমিক ২৪ গুণ বেশি টাকার আবেদন জমা পড়ে।
এরমধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৫৬ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার টাকা, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৮ কোটি ৪২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩০ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ইলিজিবল ইনভেস্টরদের কাছ থেকে (এমএফ অ্যান্ড সিআইএস) ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং ইলিজিবল ইনভেস্টরদের কাছ থেকে (এমএফ অ্যান্ড সিআইএস ব্যতীত) ১৩৫ কোটি ৮৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার আবেদন পড়ে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানির আইপিওতে রেকর্ড পরিমাণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আবেদন করেন। আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক কোটি শেয়ার। অর্থাৎ ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস আইপিওর মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এর আগে কোনো কোম্পানির আইপিওতে এতো বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আবেদন করেনি।
এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড, ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং সিএপিএম অ্যাডভাইজরি লিমিটেড এ কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজারে আনতে ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে।
জাকির/আজকের বাজার
