ইসি সচিব ও ডিএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ

বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পক্ষপাতমূলক আচরনের জন্য ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করেছে বিএনপি।

বিএনপির শাস্তি দাবি করা অন্য কর্মকর্তারা হলেন— ডিএমপি কমিশনার, জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার ও ইসির যুগ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা -২)। ইসি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে দলটি আইনের আশ্রয় নেবে বলেও হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছে।

২০ নভেম্বর, মঙ্গলবার দুপুর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগের চিঠি দেন। চিঠিটি গ্রহণ করেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর পরের দিন থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাস্তা বন্ধ ও যানজট সৃষ্টি করে মনোনয়নপত্র বিতরণ করে। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মোটরসাইকেল, গাড়ি পিকপাকসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ধানমন্ডি যায় এবং রাস্তাঘাট বন্ধ করে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। এছাড়া,নিজেদের প্রার্থীদের মধ্যে দু’জন নিহত হন। তখন পুলিশ কোনও তৎপরতা দেখায়নি। কিন্তু বিএনপির মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় জনগণের ঢল দেখে নির্বাচন কমিশন সচিব ও ডিএমপি কমিশনারের গায়ে জ্বালা ধরে। কমিশন নড়ে বসে। কথিত আচরণবিধির খড়ক নেমে আসে বিএনপির ওপরে। ইসি সচিব আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে চিহ্নিত করে। এটি একটি পক্ষপাতমূলক আচরণ।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি প্রতিপালনের নির্দেশনা নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ জনগণের অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করেছে। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের দেওয়া বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক এবং ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামানের বক্তব্যে ঘটনা সংঘটনের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

আওয়ামী লীগের জনসমাগমে এই ঘটেনি, কিন্তু বিএনপি সময় ১৪ নভেম্বর এঘটনা কীভাবে ঘটল— এই প্রশ্নও রাখা হয় চিঠিতে।

কমিশনকে দেওয়া বিএনপির চিঠিতে দাবি করা হয়, এই সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহন হয়েছেন ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ে করা হয়েছে। পুলিশ তিনটি মামলায় ৪৭২ জন নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করেছে। ৭০ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং ৩৮ জন নেতাকর্মীকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এমতাবস্থায় ‘নির্বাচন কমিশনের সচিব, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, সংশ্লিষ্ট জোনের উপপুলিশ কমিশনার এবং উদ্দেশ্যমূলক জারি করা পত্রের স্বাক্ষরকারী নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিবের (নির্বাচন পরিচালনা-২)বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়।

আজকের বাজার/এমএইচ