কোটার শূণ্য পদ পূরণ করবে মেধা তালিকা

বর্তমানে দেশে সব মিলিয়ে সরকারি চাকুরিতে ৫৬ শতাংশ পদ কোটাধারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। আর এসব কোটার পদে প্রার্থী না থাকায় প্রতিবছর শূণ্য থেকে যায় অসংখ্য পদ। এবার সরাসরি নিয়োগে কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা মেধা তালিকার প্রার্থীদের মধ্য থেকে পদ পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সরকারি কোটা সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা শিথিল করে মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হকের স্বাক্ষরকৃত এক আদেশে নতুন এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘সকল সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে সেসব পদ মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে পূরণ করতে হবে।’

বেশ কয়েকদিন থেকে সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী শিক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নতুন এ সিদ্ধান্ত জানালো সরকার।

আদেশে বলা হয়েছে, সিনিয়র স্টাফ নার্সের চার হাজার এবং মিডওয়াইফের ৬০০টি পদ পূরণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১০ সালেল ১৬ ফেব্রুয়ারি সার্কুলারে উল্লিখিত মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ সংক্রান্ত নির্দেশনা শিথিল করে এই পদগুলো জাতীয় মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে, যা এককালীন না হয়ে সব সময়ে প্রযোজ্য হবে।

এই আদেশের অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, জ্যেষ্ঠ সচিব, সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (এপিডি) দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি শেখ ইউসুফ হারুন জানান, মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সার্কুলার জারি করা হলে তা সরকারি সব চাকরির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, সরকারি চাকরিতে শূন্য পদের সংখ্যা বর্তমানে তিন লাখ ৫৯ হাজার ২৬১টি।
এমআর/