কোরান শরীফে ইয়াবা পাচার, আটক ৩

অভিনব কায়দায় ইয়াবা পাচারের পথ বেছে নিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা। তারই অংশ হিসেবে এবার ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরান শরীফের মধ্যে ইয়াবা পাচার করছে। আর কোরান শরীফে ইয়াবা পাচারের সময় একটি চালান আটক করেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে আটক করা হয়েছে ৩ জনকে। ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারে। খবর বিবিসির।

 

টেকনাফে বিজিবির ২য় ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল মো. আছাদুদ জামান চৌধুরী জানান, গত ১২ই মার্চ গভীর রাতে মিয়ানমারের দিক থেকে আসা একটি নৌকা বড়ইতলী এলাকায় এসে পৌঁছালে বিজিবির একটি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এসময় কিছু লোক পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও বিজিবি সৈন্যরা তিনজনকে আটক করেন। এদের একজনের দেহ তল্লাশি করার সময় এক কপি কোরান খুঁজে পাওয়া যায়। সেই কোরান খুলে দেখা যায় যে কোরানের ভেতরে কেটে সেখানে ১৫ হাজার ইয়াবা বড়ি লুকানো রয়েছে।

আটক ইয়াবার মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লে.কর্নেল মো. আছাদুদ জামান চৌধুরী বিবিসিকে জানিয়েছেন, চোরাচালানিরা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করার চেষ্টা চালায়। আমাদের সৈন্যরা কোরানের প্রতি শ্রদ্ধাবশত: তা পরীক্ষা করবেনা বলেই চোরাচালানিরা মনে করেছিল।

তিনি বলেন, চোরাচালানের মাধ্যম হিসেবে কোরানের মত ধর্মীয় বস্তু ব্যবহার কক্সবাজার এলাকায় নতুন কোন ঘটনা নয়।

গত ১০ই মার্চ কক্সবাজার থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয় যার মাথার পাগড়ির মধ্যে ৬০০০ ইয়াবা বড়ি লুকানো ছিল বলে তিনি জানান।

আরএম/