নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে ইসি

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দিকনির্দেশনা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ইসি বৈঠক বসেছে বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায়।

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এ সভা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ভোটের দিন এবং তার আগে ও পরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্দেশনা দেয়া হবে বলে বুধবার জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ইসির এ পর্যন্ত বসতে যাওয়া সবচেয়ে বড় বৈঠক হতে যাচ্ছে এটি। ৬৪ জেলার ৬৪ পুলিশ সুপার, মেট্রোপলিটন এলাকাগুলোর কমিশনার ও পুলিশপ্রধানদের ডাকা হয়েছে এ সভায়। ইতিমধ্যে অনেকে এসে উপস্থিত হয়েছেন।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।

এতে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের নিরাপত্তা দেয়া, নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ সুষ্ঠু রাখা ও ভোটের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

বুধবার ইসি সচিব নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সভা থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর করণীয় কী, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্যই আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

‘সভায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নারী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নির্বিঘ্ন করা এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনী মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্দেশ থাকবে।’

সাধারণত নির্বাচন কেন্দ্র করে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ও সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে যায় জানিয়ে সচিব বলেন, এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের রোধে পুলিশ বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হবে।

‘এ ছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যাতে কোনো ধরনের হামলা না হয়, সে বিষয়েও সজাগ থাকার নির্দেশ দেয়া হবে।’

বিএনপি যে চিঠি দিয়েছে, সেটি নিয়ে আগামীকাল কমিশনসভায় আলোচনা হবে বলে মন্তব্য করেন হেলালুদ্দীন। তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বিষয়ে সচিব বলেন, সবই কমিশনের নজরে আনা হয়েছে।

নতুন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বা হয়রানি বন্ধে কোনো নির্দেশ দেয়া হবে কিনা, প্রশ্নে সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, কিছু নির্দেশনা দেয়া হবে।

নির্বাচন কেন্দ্র করে ফেসবুকে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হয়। ফেসবুক মনিটরিং করার বিষয়ে ইসি কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা, জানতে চাইলে সচিব বলেন, এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে ২৬ নভেম্বর ইসি সব মোবাইল অপারেটর ও বিটিআরসি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবে।

‘তবে ভোটের দিন ফেসবুক বন্ধের কোনো পরিকল্পনা আপাতত ইসির নেই।’

হেলালুদ্দীন বলেন, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে নতুন করে বরাদ্দ না করার বিষয়ে সরকারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

‘তবে পুরনো প্রকল্পে অর্থ ছাড় করায় বাধা নেই। কেউ কোনো প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবেন না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও এ ধরনের কাজ করতে পারবেন না।’