বিদেশি পর্যবেক্ষকদের দূরে রাখতে ৩০ ডিসেম্বর ভোট: বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা যাতে না থাকতে পারে সেজন্য নির্বাচন কমিশন ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন নির্ধারণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন, থার্টি ফার্স্ট ও ইংরেজি নববর্ষের কারণে বিদেশি পর্যবেক্ষক, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাই কমিশনার ও কর্মকর্তারা ছুটিতে থাকবেন। আর এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তাদের দৃষ্টির অন্তরালেই একটি বড় ভোট চুরির নির্বাচন করতে সরকারের কৌশলী নির্দেশেই ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে ইসি।

পুন:তফসিলের দাবি জানিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমাদের পূর্বের দাবি অনুযায়ী নির্বাচন এক মাস পেছাতে হবে। এছাড়াও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারে সব রাজনৈতিক দলকে সমান সুযোগ দিতে হবে।

এদিকে সকালে রাজধানীর নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসারদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী সেশনে নির্বাচনের তারিখ আর পেছানোর উপায় নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি ) কেএম নুরুল হুদা।

সিইসি বলেন, পরবর্তীতে তার পেছানোর (জাতীয় নির্বাচনের তারিখ) উপায় নেই। আগামী ৩০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি, তাই পরবর্তীতে আর পেছানোর উপায় নেই।

অনেক কিছু ভেবেচিন্তে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অবশ্যই নতুন সংসদ গঠন করতে হবে।

তবে বিভিন্ন মহলের দাবির প্রেক্ষিতে পূর্ব ঘোষিত নির্বাচনের তফসিল এক সপ্তাহ পিছিয়ে ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০ ডিসিম্বের ভোটের দিন নির্ধারণ করেছে ইসি।

নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, জনমতকে উপেক্ষা করে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহারের কথা বলা হলেও ৮০ থেকে ১০০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যা আরও গভীর চক্রান্ত বলেই সকলেই বিশ্বাস করে।

আজকের বাজার/এমএইচ