মাইক্রো এসএমই ব্যাংকিংয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে প্রাইম ব্যাংক

মাইক্রো এসএমই ও  কনজ্যুমার ব্যাংকিংয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড। এ কারণে ব্যাংকের শাখাগুলোকে শক্তিশালীকরণ, জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়ন, প্রযুক্তির ব্যবহারসহ পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে চায় ব্যাংকটি।

ব্যাংকটির ২৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহেল আহমেদ। সোমবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, ব্যাংক খাত যে একটা বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে; এটা আমি মনে করি না। তবে বড় একটা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। এক্ষেত্রে প্রাইম ব্যাংক স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। একটি টেকসই প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।

আমরা এসএমই ও কনজ্যুমার ব্যাংকিংকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছি। আগামী ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে একটি বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে আমাদের। এই পরিবর্তনের জন্য ব্যাংকের শাখাগুলোকে শক্তিশালীকরণ, জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়ন, প্রযুক্তির ব্যবহার, এনপিএল কমিয়ে আনাসহ সব ধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আমরা চাই ২০২১ সালের মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের প্রবৃদ্ধিতে এসএমই ও কনজ্যুমার ব্যাংকিংয়ের অবদান ৪০ শতাংশের বেশি থাকে।

তিনি বলেন, এনপিএল (নন পারফরমিং লোন) বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতে বড় সমস্যা। তবে প্রাইম ব্যাংক এই এনপিএলকে একটি পর্যায়ে (৫% এর ওপরে) আনতে পেরেছে। এখন অনেক দেখে শুনে আমরা ঋণ বিতরণ করছি। যাতে নতুন করে আর এনপিএল না বাড়ে। ২০১৮ সাল হবে আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এরপরে আমরা এনপিএলকে একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে আসতে পারবো।

ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) কমার কারণ হিসেবে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রাইম ব্যাংক দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই প্রবৃদ্ধি করতে চায়। এজন্য প্রথমে আমাদের বুকটাকে ক্লিন করার চেষ্টা করেছি। এতে গত বছরে ৩৫৮ কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করা হয়েছে। এর জন্য ৩৫৬ কোটি টাকা প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) করা লাগছে। এছাড়া গত বছরে আমাদের ট্রেজারি বিল বন্ড থেকে বড় ধরণের একটা আয় এসেছিল; যেটা এবছর আসেনি। এ কারণে ব্যাংকের ইপিএস কমেছে।

২০১৭ সাল শেষে প্রাইম ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ১২২ কোটি টাকা। আর এককভাবে হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা। আলোচ্য বছরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন মুনাফা ছিল সমন্বিত ৫৫৯ কোটি টাকা। যা এককভাবে ছিল ৫৩৭ কোটি টাকা।

আলোচ্য বছরের ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৭ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।

জাকির/আরএম