অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ছাড়ছে ঢাকাগামী লঞ্চ

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ঢাকাগামী অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ছেড়ে যাচ্ছে এ নৌরুটে চলাচল করা লঞ্চগুলো।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে শুক্রবার দেখা যায় নারী, পুরুষ ও শিশু যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। পন্টুনে যাত্রীদের দাঁড়ানোর মতো জায়গাও ছিল না। জায়গা না পেয়ে জেটি অর্থাৎ গ্যাংওয়ের মধ্যেও অনেক যাত্রীকে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

ভোর থেকে রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত ১৫-১৬টি লঞ্চ চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও সেগুলোতে জায়গা হয়নি অপেক্ষমাণ অনেক যাত্রীর। এরপরও অতিরিক্ত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলোকে ঢাকায় যেতে দেখা গেছে।

ফরিদগঞ্জ, রায়পুর, রামগঞ্জ, সদর ও লক্ষ্মীপুর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসে করে এবং পশ্চিমের চরাঞ্চলের যাত্রীদের ট্রলারে করে লঞ্চঘাটে ঝুঁকি নিয়ে আসতে দেখা গেছে।

দুপুর ১২টায় ঘাটে আসে এমভি আবে জমজম। মুহূর্তের মধ্যেই লঞ্চটি যাত্রীতে ভরপুর হয়ে যায়। লঞ্চটির ১টায় ছাড়ার কথা থাকলেও যাত্রী ভরে যাওয়ায় আধা ঘণ্টা আগেই এটি ঘাট ত্যাগ করে। বিকেল সাড়ে ৩টার সোনার তরী লঞ্চও আগে ছেড়ে যায়। যাত্রী বোঝাই করে ৫টার লঞ্চ ছেড়ে যায় ৪টা ২০ মিনিটে। সন্ধ্যা ৬টার নির্ধারিত লঞ্চ ছাড়ে ৫টা ২০ মিনিটে। সর্বশেষ রাত সোয়া ১২টার ময়ূর-৭ লঞ্চও অধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যায়।

ফরিদগঞ্জ থেকে আসা মিশু ও মাসুদ নামে দুই যাত্রী জানান, ঈদের কয়েক দিন আগে ছুটিতে বাড়িতে যান তারা। এখন কাজে যোগদানের জন্য ঢাকায় যাচ্ছেন। তবে লঞ্চে ঢোকার জন্য তাদের কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।

স্ত্রী নিয়ে অপেক্ষমাণ আরেক যাত্রী জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘাটে এসে লঞ্চ পেলেও জায়গা না পেয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। আবার যাত্রী ভরে যাওয়ায় বেশির ভাগ লঞ্চই নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছেড়ে গেছে।

আর করোনাভাইরাসের এ ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে দেখা গেছে লঞ্চগুলোতে অধিকাংশ যাত্রীর মুখেই মাস্ক নেই। তবে ঘাটে দায়িত্বরত পুলিশ মাঝে মাঝে কঠোর হলে অনেককে মাস্ক পরতে দেখা গেছে।