‘অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যমে জঙ্গি হয় তারা’

গ্রেফতাররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জার চ্যাট গ্রুপ ব্যবহার করে নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসার আল-ইসলামের সদস্য হয়েছে বলে জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. ইলিয়াছ শরীফ।

তিনি বলেন, সংগঠনের দাওয়াতী শাখার প্রধান নাজমুল ওরফে উসমান গনি ওরফে আবু আইয়ুব আল আনসারীর মাধ্যমে সংগঠনের সদস্য হয় তারা।

রোববার রাজধানীর সবুজবাগ বালুর মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. নিজাম উদ্দিন, মো. রায়হান ভুইয়া, মো. হানিফ উদ্দিন সুমন, শেখ ইফতেখারুল ইসলাম ওরফে আরিফ ও মুফতি মুসলিম উদ্দিন ওরফে মুসলিম। এ সময় তাদের কাছে থেকে ৩টি চাপাতি, ৩টি ব্যাগ ও ৪টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. ইলিয়াছ শরীফ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি বলেন, গ্রেফতাররা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল-ইসলামের আদর্শের অনুসারী। তারা সংগঠনের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন জেলার নামকরা স্থানে একত্রিত হয়।

সংগঠনের দাওয়াতী শাখার প্রধান নাজমুল ওরফে উসমান গনি ওরফে আবু আইয়ুব আল আনসারী এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেসেঞ্জার চ্যাট গ্রুপ ও অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমে গ্রেফতাররা আনসার আল-ইসলাম সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য দাওয়াত পায়।

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, দাওয়াতে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা সংগঠনে যোগ দেয়। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টেলিগ্রাম, অনলাইন চ্যাট গ্রুপ ও ক্রিপ্টোকারেন্সীর মাধ্যমে যোগযোগ করে এবং সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতো।

সম্প্রতি আনসার আল-ইসলামের নেতা আবু কায়সার ওরফে রনির নির্দেশে এই গ্রুপের সদস্যরা ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্যান্য স্থাপনায় হামলা পরিকল্পনা করেছিল বলেও জানান তিনি।

এর আগেও আনসার আল-ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এই তিন সদস্যের দাওয়াত প্রদানকারী জমুল ওরফে উসমান গনি জঙ্গিবাদবিরোধী চলচ্চিত্র নির্মাণ করায় চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খানকে হত্যা প্রচেষ্টা ও পরিকল্পনায় সমন্বয় করে।

হত্যার পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলেন, সে কুয়েতে থাকার সময় টেলিগ্রামে ‘এসো কাফেলা বদ্ধ হই’ গ্রুপের মাধ্যমে এই হত্যা প্রচেষ্টার পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দেয়। এ বিষয়ে ২০১৮ সালে এই সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে নাজমুল দেশে ফিরে পুনরায় সংগঠনের সদস্যদের দ্বারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটনের জন্য কাজ করছে বলে জানা যায়। তার গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে সবুজবাগ থানায় গ্রেফতাকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ