অনুপ্রবেশের ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা

FILE - In this Friday, Oct. 14, 2016 file photo, Myanmar police officers patrol along the border fence between Myanmar and Bangladesh in Maungdaw, Rakhine State, Myanmar. Myanmar's government on Sunday, Nov. 13, reported fierce fighting in the western state of Rakhine, where the army has been conducting counterinsurgency operations since nine police officers were killed in attacks on posts along the border with Bangladesh last month. (AP Photo/Thein Zaw, File)

বৈশ্বিক মহামারি করোনা নিয়ে যখন উৎকণ্ঠায় দেশ; তখন নতুন উত্তেজনা সীমান্ত এলাকায়। সম্প্রতি টেকনাফে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, লালমনিরহাট ও খাগড়াছড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পুশইনের চেষ্টা জন্ম দিচ্ছে অনেক প্রশ্নের। বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীও।

লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্ত। ২৩ এপ্রিল বিকাল ৫টা। মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে বাংলাদেশে পাঠাতে উঠে পড়ে লাগে বিএসএফ সদস্যরা। বিষয়টি শক্তভাবে প্রতিহত করে গ্রামবাসী ও বিজিবি।

একপর্যায়ে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে বিএসএফ। ছোড়ে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এর আগে গত ৫ এপ্রিল এই সীমান্ত এবং ১২ এপ্রিল পাটগ্রামে একই চেষ্টা চালায় বিএসএফ।

গত ১ মে খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্ত দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন একজনকে পুশইন করার চেষ্টায় বিএসএফ। যা শক্ত অবস্থানে থেকে রুখে দেয় বিজিবি।

উপায়ান্তর না দেখে ঐ ব্যক্তিকে ভারতে ফেরত নিয়ে যায় দেশটির সীমান্তরক্ষীরা। ২ এপ্রিলও একই চেষ্টা চালায় বিএসএফ।

যখন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে সবাই, তখন সীমান্তে পুশইনে মেতেছে প্রতিবেশী দেশের সীমান্তরক্ষীরা। যেমন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাড়ছে টেকনাফে।

বিজিবির দাবি, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বাড়ানো হয়েছে টহল।

এসব ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থি বলছেন বিশ্লেষকরা। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলছেন, বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে উচ্চ পর্যায়ে।

সংশ্লিষ্টদের মত, করোনাকালীন হঠাৎ কেন এমন কাজে মেতেছে প্রতিবেশী দেশগুলো, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।