অবৈধ ৪২ হাজার ভিওআইপি সিম জব্দ

ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২৬টি আবাসিক স্থাপনায় অভিযান চালিয়ে ৪২ হাজার ১৫০টি অবৈধ ভিওআইপি সিম জব্দ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিম।

অভিযানে ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে এবং অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অভিযানে সম্পৃক্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানে সংশ্নিষ্ট আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম এবং বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অবৈধ কল টার্মিনেশন প্রতিরোধে কমিশনের গৃহীত কার্যক্রমের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৪-১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমণ্ডি, তেজগাঁও, কদমতলী, পল্লবী, মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এবং ২১-৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী, পাঁচলাইশ, বাকলিয়া, চকবাজার, চান্দগাঁও, সদরঘাট ও হালিশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল অপারেটর রবির ১৬ হাজার ৮২১টি, টেলিটকের ১৫ হাজার ৯৩৯টি, বাংলালিংকের ৬ হাজার ১৭৬টি এবং গ্রামীণফোনের তিন হাজার ২২৩টিসহ মোট ৪২ হাজার ১৫০টি সিম জব্দ করা হয়েছে। এবং অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়-সংশ্নিষ্ট ১৪৮টি জিএসএম (সিমবপ) এবং ২ হাজার ৬৭৭টি মডেম ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক মালামাল জব্দ করা হয়। ২৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এ ঘটনায়।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, ‘বিটিআরসি আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় অবৈধ ভিওআইপি কার্যক্রমে ব্যবহূত সিমবপের সুনির্দিষ্ট অবস্থান শনাক্ত করার সক্ষমতা অর্জন করেছে।

যার ফলে অভিযানগুলোতে অতীতের চেয়ে অধিকতর সফলতা অর্জিত হচ্ছে। যে পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে, এগুলো সচল থাকলে সরকার বছরে ৮৬৭ কোটি টাকা রাজস্ব হারাত।’

সংবাদ সম্মেলনে অবৈধ ভিওআইপি প্রতিরোধ অভিযানে সংশ্নিষ্ট র‌্যাব কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, ‘অবৈধ ভিওআইপির অভিযোগে কোনো মামলা দায়েরের পর বিটিআরসি সেই মামলাটি নিয়ে খুব বেশি অ্যাক্টিভ থাকে না। এতে করে অপরাধীরা দ্রুতই আইনের ফাঁক গলে জামিনে বের হয়ে যায়।’

এদিকে অপারেটর প্রতিষ্ঠানের কেউই এসব ঘটনার সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি এবং এর দায় নিতেও রাজি হয়নি। তারা জানান, সিম বিক্রি করার পর একটি সিম কী কাজে ব্যবহূত হবে, সেটা ব্যবহারকারী ঠিক করে। এতে তাদের কিছু করার থাকে না। তবে এসব অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।