অরিত্রী’র আত্মহত্যার মামলার দুই শিক্ষকের জামিন

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের মামলার দুই শিক্ষকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

জামিন প্রাপ্তরা হলেন-অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও জিন্নাত আরা।

সোমবার দুপুরে দুই শিক্ষক আইনজীবী বাহাউদ্দিনের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অরিত্রীর আত্মহত্যায় ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে গত ৪ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন। মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়।

মামলা দায়েরের পর গত ৫ ডিসেম্বর শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর ৯ ডিসেম্বর জামিন পান হাসনা হেনা।

এদিকে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর অভিযোগ, গত ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীকে পরদিন তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ওইদিন স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা অরিত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজকের বাজার/এমএইচ