অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর অধিকার হারিয়েছে আমেরিকা: ইউরোপ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা বলেছেন, ২০১৫ সালে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানানোর অধিকার হারিয়েছে। ইউরোপের কয়েকজন কূটনীতিকের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ টেলিভিশন এ খবর দিয়েছে। তবে এসব কূটনীতিক নাম প্রকাশ করতে চান নি। ২০০৬/২০০৭ সালে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের আওতায় প্রধানত পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৫ সালে ইরান ও ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে পরমাণু সমঝোতা সই হয় কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সমঝোতা বাতিল করে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। ফলে আমেরিকা এখন ওই সমঝোতার কোনো পক্ষ নয় কিন্তু তারপরও দেশটি ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ইরান-বিরোধী নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জোরালো ঘোষণা দিয়েছেন যে, তারা ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াতে সক্ষম হবেন। একই ঘোষণা দিয়েছেন ইরান বিষয়ক মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি ব্রায়ান হুক। তবে পরমাণু সমঝোতায় টিকে থাকা ইউরোপের দেশগুলো এবং রাশিয়া ও চীন আমেরিকার তৎপরতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এসব দেশ আমেরিকার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়। আমেরিকা যদি জোর করে ইরান-বিরোধী নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে চায় তাহলে ট্রাম্পের প্রশাসন মিত্রদের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ানোর ঝুঁকিতে পড়বে। ইউরোপের কোনো কোনো কূটনীতিক বলছেন, যদি আমেরিকা ইরান-বিরোধী নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে সক্ষম হয় তারপরেও তা হবে মূলত প্রতীকি, এর কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। তবে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো খুব সহজ হবে না কারণ নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি স্থায়ী সদস্য দেশ এর কঠোর বিরোধিতা করবে।

আজকের বাজার/আখনূর রহমান