অ্যাপে নগরবাসীর তথ্য সংগ্রহ করবে ডিএমপি

রাজধানীর বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া আরো সহজ, নির্ভূল ও দ্রুত করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) নামে মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে।

সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এ অ্যাপটির উদ্বোধন করেন। এখন থেকে গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপসটি পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, এখন থেকে পুলিশকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নগরবাসীর তথ্য সংগ্রহ করতে হবে না। সিআইএমএস অ্যাপসের মাধ্যমে নাগরিকরা নিজেদের মোবাইল ফোনেই তথ্য দিতে পারবেন। পরে থানা পুলিশের গ্রাউন্ড ভেরিফিকেশনের পর এসব তথ্য সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তি করা হবে।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আগে থানা পুলিশ ম্যানুয়ালি নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করত। পরে সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমরা সিস্টেমে এন্ট্রি দিতাম। এতে লোকবল ও সময় দু’টিই বেশি লাগত। কিন্তু এখন এ অ্যাপসের মাধ্যমে নাগরিকরা নিজেদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তথ্য দিতে পারবেন। পরে থানা পুলিশ গ্রাউন্ড ভেরিফিকেশন করার পর এ তথ্য সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তি করা হবে। তবে এখনো ম্যানুয়ালি ও ডিজিটালি এ নাগরিক তথ্য সংগ্রহের কাজ করা যাবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২০১৬ সালে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া শুরু করি। অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলছি, আজ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর ৭২ লাখ নাগরিকের তথ্য আমাদের এ সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে।

এখন আমরা যে সিআইএমএস তথ্যভাণ্ডার তৈরি করেছি এর কারণে নগরীতে কেউ নিজের পরিচয় লুকিয়ে বাসা ভাড়া নিতে পারেনি এবং বাসা তৈরিও করতে পারেন না। কোনো বাসায় যদি অপরাধ করে অপরাধী পালিয়ে যায় তাহলে আমরা নাগরিক তথ্যভাণ্ডারের মাধ্যমে তাকে সহজেই চিহ্নিত করতে পারি এবং তাকে গ্রেফতার করতে পারি।

নাগরিক ডাটাবেজে জঙ্গি দমন সহজ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ২০১৬ সালের হলি আর্টিজানে মর্মান্তিক জঙ্গি হামলার পর ঢাকা মহানগরীতে তেমন কোনো বড় ধরনের জঙ্গিদের আস্তানা গড়ে ওঠেনি এবং জঙ্গিরা আস্তানা তৈরি করতে পারেনি। এর অন্যতম একটি কারণ হল, নাগরিক ডাটাবেজ থাকার কারণে জঙ্গিরা ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া নিতে পারেনি বা অবস্থান করতে পারেনি। জঙ্গি দমনে এ সিস্টেম একটি যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।

আজকের বাজার/এমএইচ