অ্যাসিড দগ্ধ মুখের রূপান্তর দেখে চমকে গেল সোশ্যাল মিডিয়া

২১ বছরের জন্মদিনটা লন্ডনে তুতো বোন জামিলের সঙ্গে কাটাতে চেয়েছিলেন রেশম। ম্যাঞ্চেস্টারে বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী রেশম খানের দু’চোখ জুড়ে ছিল শুধু একটাই স্বপ্ন। মডেল হওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু অমন স্বপ্ন দেখবে কেন? তাই মুখে উড়ে আসে জ্বলন্ত অ্যাসিড। পার পায় না তুতো বোন জামিলও। ঝলসে যাওয়া মুখ নিয়ে রেশম বুঝতে পারছিলেন জীবনটা হয়তো আর কোনও দিনই আগের মতো হবে না।

ভেঙে পড়লেও এই বিপর্যয় নিজের ভবিতব্য মেনে নিতে কিছুতেই রাজি ছিলেন না রেশম। তাই নিজেকে লুকিয়ে রাখার পরিবর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন রেশম। কী ভাবে প্রতি দিন দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া নিজেকে আবার তিলে তিলে গড়ে তুলছেন, ঝলসানো মুখে স্কিন গ্রাফটিং, নিজের বিউটি ও মেকআপ রুটিন নিয়মিত নিজের ব্লগে শেয়ার করতে থাকেন।

অবশেষে ইদের দিন প্রথম তাঁর নতুন চেহারার ছবি পোস্ট করেন রেশম। যে ছবি শেয়ার করে ব্রিটেনের ন্যাশনাল মিডিয়া। কতখানি লড়াই করে এই চেহারা পেয়েছেন, কী ভাবেই বা মেকআপের সাহায্যে ক্ষত ঢেকেছেন সেই কাহিনিও শোনান রেশম। ব্লগে রেশম লিখেছেন, আপনারা আমাকে আমার সবচেয়ে খারাপ সময়ে দেখেছ। এ বার আমার নতুন চেহারা দেখুন। ত্বকের রং, ক্ষত হয়তো মেকআপ দিয়ে ঢেকে ফেলতে পেরেছি, কিন্তু আমার চোখ আজও স্বাভাবিক নয়।

যেই ছবি আপনারা ইন্টারনেটে দেখছেন সেটা এটা আমার আসল চেহারা নয়। অনেক মেকআপ করার পর এই চেহারা পেয়েছি। যা সত্যিই কষ্টকর। আমার ত্বক পুড়ে গিয়ে এতই শক্ত হয়ে গিয়েছে যে লিপস্টিক মেশানো যায় না। আমার ভ্রু পুড়ে গিয়ে অবিন্যস্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন আমি আয়নায় নিজের দিকে তাকাতে পারি।

ছবি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। উপচে পড়েছে প্রশংসা, শুভেচ্ছা, সমর্থন।

নভেম্বর মাসে আদালতে তোলা হবে রেশমের অপরাধী ২৫ বছরের জন টমলিনকে।