আইপিও, প্লেসমেন্ট ও বোনাস শেয়ার ইস্যুর আইন সংশোধনে কমিটি গঠন বিএসইসির

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও (স্থির মূল্য এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতি), প্লেসমেন্ট শেয়ার, আইপিও পরবর্তী সময়ে বোনাস শেয়ার ইস্যু ও কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে দুই শতাংশ এবং সম্মিলিত ভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত বিধিমালা ও নোটিফিকেশন সংশোধনে দুটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি। কমিটি দুটিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার ৮মে ২০১৯ বিএসইসির ৬৮৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, একটি কমিটির প্রধান করা হয়েছে নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদকে। অন্যটির প্রধান করা হয়েছে নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলামকে।

মূলধন উত্তোলন, আইপিও আকার, কোটা, যোগ্য বিনিয়োগকারী, লক ইন পিরিয়ড সংক্রান্ত কমিটি:

ছয় সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদকে। কমিটির অন্যদের মধ্যে আছেন সদস্য সচিব উপ পরিচালক শেখ লুৎফর কবির। সদস্যরা হলেন, নির্বাহী পরিচালক রুকসানা চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, রিপন কুমার দেবনাথ, মো. মনসুর রহমান। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রাইভেট অফারের মাধ্যমে মূলধন উত্তোলনের ক্ষেত্রে বিএসইসির অনুমোদনের কোনো প্রয়োজন হবে না, এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সংশিষ্ট বিধিমালা, নোটিফিকেশন বাতিল বা পরিবর্তন সংক্রান্ত খসড়া আদেশ তৈরী ও নীতিমালা প্রণয়ন করবে এই কমিটি। আইপিও আকার, কোটা, যোগ্য বিনিয়োগকারী, লক ইন পরিয়ড ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয়ে গৃহিত সিদ্ধান্তের আলোকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫’র প্রয়োজনীয় সংশোধনের খসড়া তৈরী করবে। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আদেশ বা নোটিফিকেশন পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করবে।

বোনাস শেয়ার, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার ধারন সংক্রান্ত কমিটি:

চার জন বিশিষ্ট এই কমিটির প্রধান নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন-উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম। বাকী সদস্যরা হলেন- পরিচালক রিপন কুমার দেবনাথ, মো. মনসুর রহমান।

এই কমিটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির বোনাস শেয়ার ঘোষনার নতুন শর্ত সংযোজন, মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের প্রক্রিয়ার সংশোধন, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের এককভাবে ২ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত নোটিফিকেশনের প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আদেশ বা নোটিফিকেশন পরিবর্তন সংক্রান্ত কাজ করবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কমিটিকে।

এদিকে, বিদ্যমান আইনে যেসব কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ইস্যুকৃৃত শেয়ারের লক ইন (যা এখনও উম্মুক্ত হয় নাই) পিরিয়ড প্রসপেক্টাস ইস্যুর তারিখের পরিবর্তে সেকেন্ডারি মার্কেটে ট্রেডিং শুরুর তারিখ থেকে গণনা শুরু হবে। ৯ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

আজকের বাজার/মিথিলা