আগামীকাল বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস

আগামীকাল ১৫ মার্চ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস। ১৯৮৩ সাল থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণ’। প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে আজ পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করেছে। জনবান্ধব এ আইনের যথাযথ বাস্তবায়নে প্রয়োজন জনপ্রতিনিধি, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।

‘সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ বর্তমানে ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থার সুফল ভোগ করছে। ভোক্তা সাধারণের অভিযোগ গ্রহণ ও প্রতিকারের ক্ষেত্রে ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তা নেয়া হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করেছে যা দেশের ভোক্তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন।

ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা আনয়ন ও তার স্থায়িত্বদানে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিষ্ঠার সাথে যথাযথ ভূমিকা রাখবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে সাশ্রয়ী মূল্যে গুনগত মানসম্পন্ন নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে ভলান্টরি কনজ্যুমারস ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটি (ভোক্তা)।
দেশে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন-ভোক্তা বলছে, দেশে ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণের পূর্বশর্ত হলো সাশ্রয়ী মূল্যে গুনগত মানসম্পন্ন নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা।

এমআর/