আজ ঈদ করছেন বরিশালের ২০ গ্রামের বাসিন্দা

বরিশালের গৌরনদীর ২০টি গ্রামের বাসিন্দারা আজ বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপন করছেন।
চাঁদ দেখা নিয়ে দুই রকম ঘোষণার কারণে এই গ্রামের বাসিন্দারা বুধবার রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নেন। ৩০টি রোজা শেষ করে বৃহস্পতিবার তারা ঈদ উদযাপন করছেন।
বাঙ্গিলা হামিউস সুন্নাহ কওমি মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা আবদুল কাদের বলছেন, ইসলামে চাঁদ দেখা নিয়ে কোন অস্পষ্টতার তৈরি হলে ৩০টি রোজ পূর্ণ করে ঈদ করার নিয়ম আছে।

তিনি বলেন, ”হাদিসে আছে, রমজানের ২৯ তারিখে চাঁদ দেখা না গেলে তোমরা রমজান ত্রিশে পূর্ণ করো। যেহেতু আমাদের এখানে কেউ কোথাও চাঁদ দেখতে পায়নি, প্রত্যক্ষদর্শী কেউ আমাদের দেখেছে বলেও জানাতে পারেনি বলে আমরা বুধবার ঈদ করতে পারিনি। তাই ৩০ রোজা পূর্ণ করে শরীয়ত মোতাবেক আমরা আজ ঈদ করছি।”
তিনি মনে করেন, সরকারের দুই ধরনের ঘোষণার কারণে বুধবার যারা ঈদ করেছে, ভারাক্রান্ত মন নিয়েই তাদের ঈদ করতে হয়েছে।

বাংলাদেশের বুধবার ঈদ উদযাপিত হলেও, অনেক স্থানের বাসিন্দারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগেরদিন ঈদ উদযাপন করেছেন। তবে এবারই পরের দিনেও ঈদ উদযাপিত হলো।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির প্রথম ঘোষণা কোরান ও সুন্নাহ’র ভিত্তিতে ঠিক থাকলেও রাত ১১টার ঘোষণা সঠিক হয়নি বলে তিনি মনে করেন।
সকাল আটটার সময় গ্রামের ঈদগা ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে কয়েকশো মানুষ অংশ নেন বলে তিনি জানান।
এভাবে বাগেরহাট, মঠবাড়িয়াসহ আরো কয়েকটি স্থানে আজ ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে বলে বলছেন মি. কাদের।
আশেপাশের ধানডোবা, ধুরিয়াইল, নন্দনপট্টি, বড় কসবা, চাঁদশী, চেংগুটিয়াসহ ২০টি গ্রামের মানুষ বুধবার রোজা রেখে বৃহস্পতিবার ঈদ করছেন বলে বরিশালের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের বুধবার ঈদ উদযাপিত হলেও, অনেক স্থানের বাসিন্দারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগেরদিন ঈদ উদযাপন করেছেন। তবে এবারই পরের দিনেও ঈদ উদযাপিত হলো।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ প্রথমে জানানো হয় যে, দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি।
এর দুই ঘণ্টা পরে রাত ১১টায় আবার জানানো হয়, কোন কোন স্থানের বাসিন্দারা চাঁদ দেখতে পেয়েছেন, তাই বুধবার ঈদ হবে।

সুত্র:বিবিসি বাংলা