আজ হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী

আজ ১৯ জুলাই, নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানেন জনপ্রিয় এই কথাশিল্পী। মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে তার নিজ হাতে গড়া স্বপ্নের নুহাশপল্লীতে সমাহিত করা হয়।

আজ  বৃহস্পতিবার নুহাশপল্লীতে  জনপ্রিয় এ লেখকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে  কোরআন খানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

এতে আশপাশের মাদরাসা ও এতিমখানার ছাত্র, পরিবারের সদস্য এবং হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন লেখকসহ প্রায় ৬০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এদিকে প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী নুহাশপল্লীতে আসছেন। বিশেষ করে হুমায়ূনভক্ত তরুণ প্রজন্মের অনেক শিক্ষার্থী নুহাশপল্লীতে ভিড় করছেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণি-প্রেশার লোকও আসছেন নুহাশপল্লীতে।

উল্লেখ্য, জনপ্রিয় কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। স্কুলজীবনে হুমায়ূন আহমেদকে বাবার চাকরিস্থল কুমিল্লা, সিলেট, বগুড়া, পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন জেলায় বাস করতে হয়। তিনি ১৯৬৭ সালে বগুড়া জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা (রাজশাহী বিভাগে মেধাতালিকায় দ্বিতীয়), ১৯৬৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

ছাত্রজীবনেই তার লেখালেখি শুরু। ১৯৭২ সালে তার প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশ পায়। তখন তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় উপন্যাস ‘শংখনীল কারাগার’। এই দু’টি বই প্রকাশের পর হুমায়ূন আহমেদ একজন শক্তিশালী কথাশিল্পী হিসেবে পাঠকমহলে সমাদৃত হন। সেই থেকে জীবিতকালে তার দুই শতাধিক বই প্রকাশিত হয়।

এসএম/