করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি মোতাবেক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে আজ বুধবার থেকে আরও ৯ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। এর আগে গত রোববার থেকে মোট আট জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করে।
রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়াজাহান আজ বুধবার বিকালে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে আজ সকাল থেকে আরও ৯ জোড়া ট্রেন চালু হয়েছে। আজ মোট ১১ জোড়া ট্রেন চালু হওয়ার কথা থাকলেও সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বেনাপোল ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস চালু হয়নি। এই দুটি এক্সপ্রেস আগামীকাল চালু হবে।’
তিনি আরও জানান, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ রেলওয়ের সকল যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল গত শনিরার পর্যন্ত বন্ধ ছিল। সাধারণ ছুটি প্রত্যাহারের পর সরকার যাত্রী বাহী ট্রেন পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান করায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি মোতাবেক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গত রোববার থেকে মোট আট জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করে।
রেলওয়ে সূএ জানায়, আজ ৩ জুন থেকে চলাচলকারী ৯ জোড়া ট্রেন হলো-তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা; নীলসাগর এক্সপ্রেস, চিলাহাটি-ঢাকা- চিলাহাটি; রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি; কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী-খুলনা; মধুমতি এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোয়ালন্দঘাট-রাজশাহী; মেঘনা এক্সপ্রেস, চাঁদপুর-চট্টগ্রাম-চাঁদপুর; কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকা; উপকূল এক্সপ্রেস, নোয়াখালী- ঢাকা-নোয়াখালী এবং ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজারের মধ্যে চলাচল করছে। রেলওয়ে সূএ জানায়, প্রত্যেক যাত্রী নিজেকে সুরক্ষায় সচেষ্ট থাকবেন, সহযাত্রীকে সুরক্ষায় সহযোগিতা করবেন।
টেনের ৫০ শতাংশ টিকেট বিক্রি করা হবে। সকল ট্রেনের টিকেট অনলাইনে সংগ্রহ করতে হবে, কাউন্টারে টিকেট বিক্রি হবে না। যাত্রী সাধারণকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় স্টেশন এলাকায় বা ট্রেনে প্রবেশ করতে হবে। ট্রেনের অভ্যন্তরে যাত্রীদের নির্দিষ্ট আসনে অবস্থান করতে হবে। ট্রেনে আরোহণ এবং অবতরণের জন্য নির্দিষ্ট দরজা ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার লক্ষ্যে ট্রেনে খাবার সরবরাহ বন্ধ থাকবে। যাত্রার তারিখসহ ৫ দিন পূর্ব হতে টিকেট ক্রয় করা যাবে।
যাত্রীদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানীয় সঙ্গে নিতে হবে। তাপমাত্রা পরিমাপের সুবিধার্থে যাত্রীদের ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ৬০ মিনিট পূর্বে স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। কোনো অবস্থাতেই টিকেট ছাড়া প্লাটফরমে প্রবেশ করা যাবে না। দর্শনার্থী/ প্লাটফরম টিকেট বিক্রয় বন্ধ থাকবে। মাসিক/ বা স্বল্পদূরত্বের যেমনঃ ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, নরসিংদীতে কোন ট্রেন থামবে না। খবর-বাসস
আজকের বাজার/আখনূর রহমান
