আজ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী

আজ ২৬ জুন। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৪ সালের আজকের এই দিনে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। শহীদ জননীর প্রয়াণ দিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

লেখিকা, কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী শহীদ জাহানারা ইমাম। ১৯২৯ সালের ৩ মে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় এক রক্ষণশীল বাঙালি মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘একাত্তরের দিনগুলি’।

তার জ্যেষ্ঠ পুত্র শফি ইমাম রুমী একাত্তরে দেশের মুক্তিসংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে নির্মমভাবে শহীদ হন। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধ শেষে বিজয় লাভের পর রুমীর বন্ধুরা রুমীর মা জাহানারা ইমামকে সব মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে বরণ করে নেন। সেই থেকেই তিনি শহীদ জননী।

তিনি যেন মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মায়ের সন্তান বিয়োগের চিরন্তন যাতনার মূর্তপ্রতীক। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তিনি যে তার একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছিলেন তা নয়, তার স্বামী শরীফ ইমামও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ইন্তেকাল করেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের গর্বিত এই জননীর নেতৃত্বেই গত শতকের নব্বইয়ের দশকে গড়ে উঠেছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন। তার নেতৃত্বেই এই কমিটি ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ গণআদালতের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার সম্পাদন করা হয়।

শহীদ জননীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবারের মতোই একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ‘জাহানারা ইমাম স্মারক বক্তৃতা’, আলোচনা সভা এবং ‘জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক’ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিকেল সাড়ে ৩ টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত জাহানারা ইমাম স্মারক বক্তৃতা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক অজয় রায়।

আরএম/