বাণিজ্যমন্ত্রী

আন্দোলনে পরাজিতরা নির্বাচনেও পরাজিত হয় : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, যারা আন্দোলনে পরাজিত হয়, তারা নির্বাচনেও পরাজিত হয়। যাদের আলোচনার প্রস্তাব গ্রহণ করা হলেও, আলোচনায় বসেননি, তাদের সাথে আবারও আলোচনার প্রশ্নই আসে না। আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচন বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের এবং এ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী রোববার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েমন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ(বায়রা) আয়োজিত এজেন্সির সদস্যভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধণা ও মেধা পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে উন্নয়ন আরো জোরদার করবো। বাংলাদেশ এখন ব্যাপক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে উন্নয়ন বেশি হয়। বিগত জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশে গোলযোগ সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করা হয়েছিল, সে চেষ্টা সফল হয়নি। এবারও সে ধরনের গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করা হতে পারে, দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলি টানেল নির্মাণ, ১০০ টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন, মাতার বাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণসহ বহু বৃহৎ প্রকল্প ধারাবাহিক ভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার দেশের তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে ১৬ হাজার ৪৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সফলতা দেখিয়েছে। দেশের ৯০ ভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। এ বছরের শেষে দেশের সকল মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে। বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশের দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৫৭ ভাগ থেকে ২২ ভাগে নেমে এসেছে, হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা বর্তমানে ১১ ভাগ, ২০৩০ সালে এসডিজি সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৩ ভাগে নেমে আসবে। বোংলাদেশ এখন বিশে^ উন্নয়নের রোল মডেল।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জনশক্তি রপ্তানির পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের রপ্তানি আয়ে বিদেশে কর্মরত জনশক্তি ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। দেশে আগত রেমিটেন্সের পরিমান ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। এক কোটির বেশি মানুষ বিদেশে কর্মরত। বৈধপথে রেমিটেন্স আসলে এর পরিমান ২০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতো। বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যের মতো এখাতেও ক্যাশ ইনসেনটিভ প্রদান করা হলে হয়তো বিদেশ থেকে সকলেই বৈধপথে অর্থ প্রেরণ করতো।
বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েমন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজর (বায়রা) সভাপতি বেনজির আহমদের (সাবেক এমপি) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা।

আজকের বাজার : এসএস / ওএফ/ ২৮ জানুয়ারি ২০১৮