আবরার হত্যায় মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে ১১ জন সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলো। বাকি ১৪ জন হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে নির্দেশদাতা ও লাশ নিচে নামিয়ে আনায় জড়িত ছিল বলে জনানো হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এসব কথা জানান।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, মূলত একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। তদন্তের মাধ্যমে সব আসামির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এ কারণে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হবে এমনটিই প্রত্যাশা করছি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলায় এ পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছেন ডিবি। এর মধ্যে এজাহারনামীয় ১৬ জন ও এজাহারের বাইরে পাঁচজন। এদের নাম তদন্তে উঠে এসেছে।

এজাহারনামীয়রা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এ এস এম নাজমুস সাদাত।

এজাহার বহির্ভূত পাঁচজন হলেন- ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে ওই হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করেন।

আজকের বাজার/এমএইচ