আবাসন ব্যবসায়ীদের উচ্চ মুনাফার ধারা থেকে বের হতে হবে

আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের উচ্চ মুনাফার ধারা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তাহলে এখাতের ব্যবসা নতুন আঙ্গিক পাবে। এমন মত দিয়েছেন এখাতের ব্যবসায়ীরা।
সমাপ্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ব বসতি দিবস-২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব বক্তব্য উঠে আসে।

অনুষ্ঠানে রিহ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুন্নবী চৌধুরী বলেন, আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। কিছু ব্যবসায়ী ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে দ্রুত সময়ে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন; যা পৃথিবীর অন্য কোথাও সম্ভব নয়। দেশের উন্নয়নে এ খাতের ব্যবসায়ীদের মনোভাবের পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের উচ্চ মুনাফার ধারা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেওয়া ট্যাক্সের টাকায় চলে সরকার। আবার দেশের হাউজিং খাতের উন্নয়নে কাজ করছে রিহ্যাব। সবকিছুর পরও এ খাতে অসহযোগিতামূলক আচরণ করছে সরকার। এ খাতকে শিল্প হিসেবে বিবেচনা করা হলে এর উন্নয়ন সম্ভব।

রিহ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, শহরাঞ্চল ছাড়াও রিহ্যাবকে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কাজ করতে হবে। গৃহায়ন খাতে ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে। ক্রেতাদের সিঙ্গেল ডিজিটে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।

নুরুন্নবী শাওন বলেন, গত ৬ বছরে বাংলাদেশের ৫৭ লাখ লোক বাস্তুহারা হয়েছে। এর একটা বড় অংশ প্রতিদিনই রাজধানী ঢাকায় আসছে। ঢাকার ফুটপাতসহ নানা জায়গায় খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করছেন অনেকেই। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাই।

অনুষ্ঠানের বক্তরা বলেন, এখনও আমাদের কোনো আবাসন নীতি নেই। হাউজিং খাতের উন্নয়নে আবাসন নীতি থাকা উচিৎ। রাজউককে ব্যবসার চিন্তা বাদ দিয়ে রাজধানীর উন্নয়নে মনোযোগ দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ। রাজধানীমুখী জনস্রোত ঠেকাতে গ্রামে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করা, খাসজমি চিহিৃত করে ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণ করা, গৃহ নির্মাণে সুদের হার কমিয়ে আবাসন ঋণ তহবিল গঠন, জাতীয় বাজেটে আবাসন খাতের জন্য বরাদ্দ রেখে তহবিল গঠনের সুপারিশ করেন তিনি।