আরও ১০০০ সেনা মধ্যপ্রাচ্যে পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র

US soldiers take part in the 'Decisive Strike' military exercise in their camp at the Training Support Centre (TSC) Krivolak, near Skopje, on June 17, 2019. - The 'Decisive Strike' exercise is a national field exercise with several international participants, conducted at the Training Support Centre Krivolak. Around 2500 members of the armed forces from the following six countries will take part in the exercise: the Republic of North Macedonia land forces, air force and special forces, the United States of America (Pennsylvania National Guard, 19th Special Forces Group and US Air Force), Lithuania and Montenegro with artillery capabilities and special forces from Bulgaria and Albania. (Photo by Robert ATANASOVSKI / AFP)

মধ্যপ্রাচ্যে আরও এক হাজার সেনা মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এমন ঘোষণা দিলো ওয়াশিংটন।

দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান বলেন, ইরানি সেনাবাহিনীর শত্রুতাপূর্ণ আচরণের জবাবেই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গত ১৩ জুন ওমান উপসাগরে দুটি তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। ওই হামলার জন্য ইরানকেই দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র দেশ সৌদিও এই হামলার জন্য ইরানের ওপরই দায় চাপিয়েছে।

সম্প্রতি পেন্টাগনের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার হামলার শিকার তেল ট্যাঙ্কার দুটির একটি থেকে অবিস্ফোরিত একটি লিমপেট মাইন সরিয়ে নিচ্ছে ইরানি একটি ছোট নৌকার ক্রু সদস্যরা। এই ভিডিও প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে যে, বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত ছিল ইরান। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, এতেই বেশ পরিষ্কার প্রমাণ রয়েছে।

এই ঘটনাকে ইরানের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে গত মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে জাহাজে চারটি লিমপেট মাইন হামলার ঘটনার মতোই শুরু থেকেই এ ঘটনার সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার কথাও অস্বীকার করেছে ইরান।

মাত্র একদিন আগেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা ওয়াশিংটনের নেই। ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পম্পেও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধ এড়ানোর জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করেছেন। আমরা যুদ্ধ চাচ্ছি না। পারস্য উপসাগরের কৌশলগত এলাকাগুলো দিয়ে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা বিধান করা হবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

অথচ সোমবারই যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে আরও সেনা মোতায়েনের ঘোষণা এলো। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের সঙ্গে কোন সংঘাতে যেতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নিরাপত্তা এবং কল্যাণ নিশ্চিতের জন্য ওই অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।