আড়াই বছরেও হয়নি স্বল্প মূলধনী কোম্পানির আলাদা বোর্ড

আইন পাশ হওয়ার আড়াই বছরেও স্টক এক্সচেঞ্জে গঠিত হয়নি স্বল্পমূলধনী কোম্পানির আলাদা বোর্ড। ইতোমধ্যে ওই আইনের সংশোধনীও এসেছে। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই বোর্ড প্রতিষ্ঠায়। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বরাবরের মতো এখনও বলছে, আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য ‘স্মল ক্যাপ বোর্ড’ চালু হবে।

সম্ভাবনাময় ছোট কোম্পানিগুলোকে সহজে মূলধন সংগ্রহ করে ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ দিতে দিতে স্মল ক্যাপ বোর্ড স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বিএসইসি (কোয়ালিফাইয়েড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজ) রুলস ২০১৬ নামে একটি আইন প্রণয়ন করে। চলতি বছরের এপ্রিলে এই আইনে কিছু সংশোধনী আনা হয়।

আইন অনুসারে, স্মল ক্যাপ বোর্ডে তালিকাভুক্ত হতে হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) পূর্ববর্তী পরিশোধিত মূলধন হতে হবে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা। আর আইপিও পরবর্তী ন্যুনতম মূলধনের আকার হতে হবে ১০ কোটি টাকা। তবে কোনোভাবেই আইপিও পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার বেশি হতে পারবে না। পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা অতিক্রম করলেই কোম্পানিটিকে মূল বোর্ডে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করতে হবে।

স্মল ক্যাপ কোম্পানির আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আবেদন করতে পারবে না। কেবল ‘যোগ্য’ বিনিয়োগকারীরাই আবেদন করতে পারবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং উচ্চ সম্পদধারী ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা ‘যোগ্য’ বিনিয়োগকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।

সেকেন্ডারি বাজারেও স্মল ক্যাপ বোর্ডে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করতে পারবে না। এ বাজারও কেবল ‘যোগ্য’ বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

স্মল ক্যাপ বোর্ডে প্রতিটি লেনদেনের ন্যনতম আকার হবে ৫ লাখ টাকা।

আইপিওতে আসার সময় কোম্পানিগুলোকে রেড হেরিং প্রসপেক্টাস প্রকাশ না করলেও চলবে। তবে সংক্ষিপ্ত তথ্যকণিকা প্রকাশ করতে হবে।

স্মল ক্যাপ বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের ক্ষেত্রে ন্যুনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের শর্ত প্রযোজ্য হবে না।

সিকিউরিটিজসমূহ ডিমেটারালাইজড ফর্মে হবে।একই সঙ্গে ইলেক্ট্রোনিক ট্রেডিং প্লাটফর্মে লেনদেন হবে। তবে ক্লিয়ারিং সেটলমেন্ট এবং ট্রেড সাইকেল হবে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারের অনুরূপ।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিএসইসি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাবিত স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজ লিস্টিং রেগুলেশনস অনুমোদন করেছে। এর ফলে স্মল ক্যাপ বোর্ড প্রতিষ্ঠায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে।

এদিকে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইকুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) এর একটি প্রতিনিধিদল গত ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি জানান, স্মল ক্যাপ বোর্ড গঠনের কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে।