ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ইনিংস হার এড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড। প্রথম টেস্ট ইনিংস ও ৬৫ রানে জিতে দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড।

দলীয় প্রচেষ্টায় এসেছে নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত এই জয়। বিজে ওয়াটলিংয়ের ডাবল ও মিচেল স্যান্টনারের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা পেয়েছিল বড় লিড।

দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন পেসার নিল ওয়াগনার। সোমবার শেষ দিন ইংলিশদের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে গেছে ১৯৭ রানে।

২৬২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে ইংল্যান্ড চতুর্থ দিন শেষ করেছিল ৩ উইকেটে ৫৫ রানে। ইনিংস পরাজয় এড়াতে শেষ দিন ইংলিশদের প্রয়োজন ছিল ২০৭ রান। ম্যাচ বাঁচাতে কাটিয়ে দিতে হতো পুরো দিন। তবে দিনের ২১.৪ ওভার বাকি থাকতেই শেষ হয় ইংলিশদের লড়াই।

জো ডেনলির সঙ্গে শেষ দিন শুরু করেছিলেন জো রুট। উইকেটে থিতু হয়েও কলিন ডি গ্রান্ডহোমকে উইকেট উপহার দিয়ে আসেন রুট। লাঞ্চের আগে অবশ্য আর কোনো উইকেট হারায়নি সফরকারীরা।

পঞ্চম উইকেটে ডেনলি ও বেন স্টোকসের জুটিটা বেশ জমে উঠেছিল। দুজন কাটিয়ে দিয়েছিলেন ২৬ ওভার। এরপরই টিম সাউদির বাইরের বল ভেতরে টেনে বোল্ড হন স্টোকস, ভাঙে ৫২ রানের জুটি। ৮৪ বলে স্টোকস করেন ২৮ রান।

শেষ পাঁচ ব্যাটসম্যানই এরপর ওয়াগনারের শিকার। শুরুটা ডেনলিকে দিয়ে। বল ছেড়ে দিয়ে আউট হন ১৪২ বলে ৩৫ রান করা ডেনলি। শর্ট বলটা তার গ্লাভস ছুঁয়ে গিয়েছিল। লাফিয়ে উঠে বল গ্লাভসে জমান উইকেটকিপার।

স্যান্টনারের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরেন অলি পোপ। স্লোয়ার ফুলটস বলে ব্যাট পেতে দিয়েছিলেন ব্যাটসম্যান। শর্ট কাভারে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে এক হাতে ক্যাচ নেন স্যান্টনার।

আট নম্বরে নামা জশ বাটলার বোল্ড হন বল ছেড়ে দিয়ে। দ্বিতীয় নতুন বলে সেটিই ছিল প্রথম ডেলিভারি।

এরপরই ইনিংসে নিজেদের সেরা জুটিটা পায় ইংল্যান্ড। তবে নবম উইকেটে জোফরা আর্চার ও স্যাম কুরানের ৫৯ রানের জুটি নিউজিল্যান্ডের জয়টাই বিলম্বিত করতে পেরেছে শুধু। চা বিরতির পর টানা দুই বলে আর্চার ও স্টুয়ার্ট ব্রডকে ফিরিয়ে ইনিংস গুটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন ওয়াগনার।

৪৪ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। ৫৩ রানে ৩ উইকেট নেন স্যান্টনার। একমাত্র ইনিংসে ২০৫ রানের জন্য ম্যাচ সেরা হন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ওয়াটলিং।

শুক্রবার হ্যামিল্টনে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৫৩ ও ২য় ইনিংস: ১৯৭

নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৬১৫/৯ ডিক্লে.

ফল: নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ৬৫ রানে জয়ী।